Sunday, August 18, 2013

juice decoration


জুস সাজাবার ছোট্ট ছাতাটি

একটা কথা প্রচলিত আছে- ‘প্রথমে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী’।
এইজন্যই হয়তো সারা বিশ্বে খাবার সাজানোর এতো আয়োজন। বিশেষ করে পানীয়কে আকর্ষনীয় করে সাজাতে অনেক কিছুই ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে কাগজের তৈরী ছোট ছাতা অন্যতম।
বড় বড় লাউঞ্জ বা ক্যাফে গুলোতে জুস খেতে গেলে অনেকেই হয়তো ছোট্ট ছাতাটি সঙ্গে করে বাসায় নিয়ে এসেছেন। এত সুন্দর ছোট্ট রঙিন ছাতাটা কি আর ফেলে আসা যায়! এই ছাতাটি এখন আপনি নিজের হাতেই বানিয়ে নিতে পারবেন সহজেই। ঘরের পার্টিতেই জুস সাজাতে নিজের হাতে বানিয়ে ফেলতে পারবেন ছাতা। আসুন দেখে নেয়া যাক কি কি লাগবে জুস সাজানোর ছোট্ট ছাতাটি বানাতে।
উপকরণঃ
শক্ত রঙিন কাগজ (আর্ট পেপার)
কাঁচি
গ্লু স্টিক
টুথপিক
প্রস্তুত প্রণালীঃ
  • কাঁচি দিয়ে বৃত্তের আকৃতিতে গোল করে কাগজ কেটে নিন।
  • এরপর বৃত্তের পরিধির ১/৮ ভাগ কেটে ফেলুন।
  • এরপর কাগজটিকে মুড়িয়ে কোনের আকৃতি দিন।
  • খোলা ২ মাথা একসাথে গ্লু দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিন।
  • এবার কোনের ভেতরের দিকের সূচালো মাথায় গ্লু লাগিয়ে টুথপিক গেঁথে দিন।
  • গ্লু শুকানোর সময় দিন।
  • গ্লু শুকিয়ে গেলে জুস সাজাতে ব্যবহার করুন রংবেরঙের ছাতা।
অবসর পেলেই বানিয়ে ফেলুন ছোট ছোট ছাতা। বাসায় মেহমান দাওয়াত দিলে জুসের সাথে সাজিয়ে দিন একটি করে ছাতা। আপনার খুব সাধারণ জুস ও অসাধারণ হয়ে উঠবে মেহমানের কাছে। তাই দেরী কীসের? আজই বানিয়ে ফেলুন কাগজের রঙিন ছাতা।


Sunday, August 4, 2013

ghee


ঘরেই তৈরি করুন খাঁটি ঘি


মজাদার কোন খাবার রাঁধবেন আর তাতে ঘি দেয়া হবে না তা কি হয়? মোঘলাই থেকে শুরু করে দেশি খিচুড়ি সব কিছুতেই অল্প একটু ঘি দিলে স্বাদটাই বদলে যায় আমূল। এছাড়া গরম ধোঁয়া উঠা ভাতের সাথে ঘি দিয়ে খাননি এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। কিন্তু চাইলেই কি সব সময় ভাল ঘি পাওয়া যায়? যায়না। বাজারেও যেসব ঘি পাওয়া যায় তা আসলেই কতটা মানসমত্ব সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছেই। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে যেই ঘি এর জুড়ি মেলা ভার সেই ঘি যদি বাসাতেই তৈরি করতে পারেন তবে কেমন হয়? আপনাদের সুবিধার জন্যই আজকে ঘি তৈরির প্রনালি দেয়া হল।
উপকরনঃ
দুধের সর- ৫ কেজি পরিমাণ
ঠাণ্ডা পানি- ২.৫ লিটার
ঘি তৈরির জন্য যা লাগবে-
মাটির পাত্র বা মালশা- ১টি (সর ঘুঁটার জন্য)
শিল-পাটা- (সর বাটার জন্য)
কাঠের চামচ বা খুন্তি- ১টি (সর ঘুঁটার জন্য)
প্রনালিঃ
১. প্রথমে দুধের সর নিয়ে নিন আর দুধের সর বাটার জন্য একটি পরিষ্কার শিল-পাটা নিন। এরপরে দুধের সর অল্প পরিমাণে করে শিল-পাটাতে নিয়ে বাটতে থাকুন। বাটার সময় পানি দেয়া যাবেনা। সরের পরিমাণ যেহেতু বেশি তাই একবারে সবটুকু একসাথে বাটতে যাবেন না। অল্প অল্প করে সর নিয়ে বেটে নিতে হবে।
২. এবার একটি মাটির পাত্র বা মালশা নিয়ে নিন। তাতে বাটা সর থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে কাঠের চামচ বা খুন্তি দিয়ে ঘুটতে থাকুন। এই প্রক্রিয়াটি যত দ্রুত সম্ভব ততো দ্রুত করতে হবে।
৩. ভাল করে ঘুটা হয়ে গেলে সর থেকে ক্রিম তৈরি হবে। এভাবে বাকি সর থেকেই ক্রিম তৈরি করে নিন।
৪. ক্রিম তৈরি হয়ে গেলে এর মধ্যে ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে। ক্রিমের পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিতে হবে।পানি দিয়ে ঘুঁটার পরে ক্রিম থেকে সাদা দুধের মত পানি বের হয়ে ক্রিম পরিষ্কার হয়ে ঘন ডো এর মত উপরে ভেসে উঠতে থাকবে। যখন ক্রিমের সবটুকু ডো পরিষ্কার হয়ে পানির উপরে উঠে আসবে তখন পানি থেকে ক্রিম ছেকে তুলে নিন এবং পানি ফেলে দিন। একবারে করা সম্ভব না হলে কয়েকবারে করতে হবে।
৫. এবার সবটুকু ক্রিমের ডো একটি পাতলা মসলিন কাপড়ের মাঝখানে রেখে ভাল করে বেধে ঝুলিয়ে দিন। এভাবে ঝুলিয়ে রাখলে ক্রিমের ডো থেকে সম্পূর্ণ পানি বের হয়ে যাবে। এভাবে কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাখতে হবে।
৬. ক্রিমের ডো থেকে সম্পূর্ণ পানি বের হয়ে গেলে একটি লোহার কড়াই চুলায় দিয়ে গরম করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেই পাত্রে ঘি তৈরি হবে তা যেন সম্পূর্ণরুপে পরিষ্কার থাকে।
৭. এবার গরম পাত্রে ক্রিমের ডো ঢেলে দিন। ডো দেয়ার পরে চুলার আঁচ কমিয়ে মধ্যম আঁচে রাখুন। ক্রিম চুলায় দেয়ার পরে অনবরত নাড়তে থাকুন। বেশ কিছুক্ষন নাড়ার পরে ক্রিম জ্বাল হয়ে তার মধ্যে থেকে তেল বের হতে থাকবে। এই তেলটাই হল আপনার কাঙ্ক্ষিত ঘি। তবে এখনও সম্পূর্ণরুপে ঘি তৈরি হইনি কিন্তু। সবটুকু ক্রিম যখন পুড়ে গিয়ে কালো হয়ে যাবে সেই সাথে ঘি গাড় হয়ে সুন্দর সোনালি রং ধারন করবে ও তা থেকে সুন্দর সুগন্ধ ছড়াবে তখন বুঝতে হবে এবার আপনার ঘি তৈরি হয়ে গেছে।
৮. এবার একটি পরিষ্কার ও শুকনা পাত্রে ঘি ছেঁকে নিতে হবে। ছাকার সময় খেয়াল রাখবেন পোড়া অংশ যেন ঘিয়ের মাঝে চলে না যায়।
৯. পাত্রের ঘি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে বোতলে ভোরে ফেলুন এবং ফ্রিজারে করে সংরক্ষন করুন। এভাবে সংরক্ষন করলে আপনার বানানো ঘি অনেকদিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে।
* আপনার সর ঘুঁটানো ও ক্রিম জ্বাল দেয়ার উপরে নির্ভর করবে আপনি কতখানি ঘি তৈরি করতে পারবেন। তবে ৫ কেজি দুধের সর থেকে ১ থেকে দেড় কেজি মত ঘি তৈরি করা সম্ভব।
সতর্কতাঃ
ঘি প্রস্তুত করার আগে খেয়াল রাখবেন সর শিল-পাটাতেই বাটতে হবে। ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন, তবে তা বাটা সরের মত মোলায়েম হবেনা। সেই সাথে মাটির পাত্রই ব্যাবহার করবেন। স্টিল বা অন্যান্য তৈজসপত্র ব্যাবহার করলে ক্রিম নষ্ট যেতে পারে। সেই সাথে পানি ছেকে নিতে হবে ভাল করে যেন কড়াইতে দেয়ার সময় পানি না থাকে ক্রিমের মধ্যে একটুও।
ঘি আমাদের দেশি রান্নায় সেই সাথে যেকোনো বাহারি খাবারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ঘি এর মান ভাল হলে রান্নার স্বাদ এমনিতেই অনেক ভাল হয়ে যায়। তবে এই ঘি তৈরির প্রক্রিয়াটি সহজ নয়। ঘি তৈরির আগে খেয়াল রাখবেন এটা তৈরি করার জন্য অনেক সময় ও শক্তি আপনাকে দিতে হবে এর পিছনে। কিন্তু সব কষ্ট শেষে যখন নিজের হাতে তৈরি ঘি এর স্বাদ গ্রহন করবেন তখন আপনার সব কষ্ট সফল হয়ে যাবে।

ICE-CREAM(আইসক্রিম)


এই গরমে যদি আপনি ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলেন হরেক রকমের মজাদার আইসক্রিম, তাহলে কেমন হয় বলুনতো ? শুনেই জিভে জল এলো, তাই না । আসুন তবে, খুব সহজে বানানো যায় এমন কিছু ঘরোয়া আইসক্রিমের গোপন রহস্য জেনে নেই এবার।

ভ্যানিলা আইসক্রিম

উপকরণ: ভ্যানিলা নির্যাস, দুধ, চিনি, তাজা ক্রিম এবং কর্ণ ফ্লাওয়ার
পদ্ধতি: দুধ ফুটিয়ে নিন। নিজের স্বাদ অনুযায়ী চিনি ও কর্ণ ফ্লাওয়ার মেশান। পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। এবার ফ্রেশ ক্রিম এবং ভ্যানিলা নির্যাস/এসেন্স যোগ করুন। যদি পছন্দমত রং যোগ করতে চান, তাও করতে পারেন। একটি এয়ার টাইট ফুড গ্রেড বক্সের/কন্টেইনারে মধ্যে মিশ্রণটি ঢেলে ফ্রীজারে জমতে দিন। ব্লেনড করার মত শক্ত থাকা অবস্থায় মিশ্রটি বের করে নিন। মসৃণ না হওয়া পরজান্ত ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ড করা হলে আবারও কন্টেইনারে করে ফ্রিজে রাখুন, জমে গেলে পরিবেশন করুন। আইসক্রিমের স্কুপের উপরে একটু চকলেট সিরাপ দিয়ে তার উপর কিছু মজাদার জেমসের টুকরো ছিটিয়ে দিয়ে একদম রেডি আপনার হাতে বানান ঘরের ভ্যানিলা আইসক্রিম

পান আইসক্রিম

নতুন কিছু চেষ্টা করবেন? আসুন এবার আমরা বানাই পান ফ্লেভারড আইসক্রিম।
উপকরনঃ পান পাতা ,দুধ,চিনি, ফ্রেশ ক্রিম, কর্ণ ফ্লাওয়ার, শুকনো খেজুর, এবং ছোটো এলাচ দানার গুড়া।
পদ্ধতিঃ
পান পাতা ভাল করে ধুয়ে মিক্সচারে এর জুস বের করে নিন। এই জুসের সাথে যোগ করুন শুকনো খেজুর আর ছোটো এলাচ গুঁড়া পাউডার। এবার দুধ ফুটিয়ে তার সাথে চিনি ও কর্ণ ফ্লাওয়ার যোগ করে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে আগে থেকে তৈরি করে রাখা পানের জুস এর মিশ্রণ এর সাথে যোগ করুন। এর পর আগের পদ্ধতি আনুসরন করে একে ফ্রীজারে জমান। বের করে ব্লেন্ড করে আবার ও জমতে দিন। এবার রেডি আপনার একবারেই নতুন স্বাদের পান আইস ক্রিম।

স্ট্রবেরি আইসক্রীম

উপকরণ: স্ট্রবেরি পিউরি, দুধ, চিনি, ফ্রেশ ক্রিম, কর্ণ ফ্লাওয়ার।
পদ্ধতি:
পাঁচ মিনিট দুধ জ্বাল দিয়ে এতে চিনি ও কর্ণ ফ্লাওয়ার যুক্ত করুন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করে ক্রিম এবং স্ট্রবেরি পিউরি যোগ করুন।সামান্য রঙও দিতে পারেন। এর পর আগের পদ্ধতি আনুসরন করে একে ফ্রীজারে জমান। বের করে ব্লেন্ড করে আবার ও জমতে দিন। এবার রেডি আপনার ফ্রেশ স্ট্রবেরি আইসক্রীম। কিছু স্ট্রবেরি টুকরো করে উপরে সাজিয়ে পরিবেশিন করুন ।

মটকা কুলফি

উপকরণ: দুধ, চিনি, জাফরান, কাজুবাদাম, ছোটো এলাচ গুঁড়া ও চারটি ছোট মাটির ছোট পাত্র।
পদ্ধতি:
দুধ ফুটিয়ে তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ ঘন কোরে জ্বাল দিয়ে নিন। বেশি করে চিনি যোগ করুন। অল্প গরম দুধে জাফরান ভিজিয়ে তা জ্বাল দেয়া দুধের সাথে মিশিয়ে নিন। কাটা কাজুবাদাম, ছোটো এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে চারটি ছোট মাটির পাত্রের মধ্যে মিশ্রণটি ঢেলে পাঁচ-ছয় ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে জমান। তৈরি আপনার মটকা কুলফি!

চকলেট আইস ক্রিম

উপকরণ: দুধ, চিনি, , গ্রেটেড চকলেট (grated), তাজা ক্রিম, কর্ণ ফ্লাওয়ার,ভ্যানিলা নির্যাস
পদ্ধতি:
ফোটানো দুধে চকলেট মিশিয়ে নিয়ে জ্বাল দিয়ে চকলেট সস তৈরি করুন। অন্য পাত্রে দুধ, চিনি এবং কর্ণ ফ্লাওয়ার যোগ এর সাথে তৈরি করে রাখা সস করে ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করে নিন। ক্রিম এবং ভ্যানিলা নির্যাস দিন। কিছু সময়ের জন্য মিশ্রণটি জমিয়ে বের করে দুই ভাগ করে প্রতি ভাগ আলাদা ভাবে ব্লেন্ড করুন। আবার ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি ৬-৮ ঘন্টার জমতে দিন। উপরে আর কিছু চকলেট বা পছন্দ মত টপিং যোগ করে উপভোগ করুন!

Tuesday, June 11, 2013

bread (রুটি)


প্রতিদিন রাতে যারা ভাত খান না তাদের জন্য এই রুটি বেশ মজাদার হবে। ভাল তরকারী না হলেও চলে, যে কোন তরকারীর সাথে এই রুটি খেতে পারেন।
রেসিপি পরিমাণঃ
- দুই কাপ আটা (আপনি চাইলে ময়দা দিয়েও বানাতে পারেন)
- চিনি এক চা চামচ
- লবণ এক চিমটি
- তেল চার চা চামচ
- গরম পানি পরিমাণ মত
প্রণালীঃ
১
মসৃণ তলার কোন বোল নিন এবং তাতে আটা নিন।
১
লবণ, তেল ও চিনি মিশিয়ে নিন।
১
গরম পানি যোগে আস্তে আস্তে খামির বানাতে থাকুন।
১
নরম এবং মিশে এমন চমৎকার দেখাবে।
১
কত বড়, কত মোটা চান, সেই অনুসারে পিস করুন। (দেখানোর জন্য মাত্র চারটে! আসলে আগে রুটি বেলে ফ্রিজে রেখে দেয়া ছিল বলে আমরা কম বানিয়েছি)
১
রুটি বেলে জমিয়ে রাখুন। খেয়াল রেখে যেন একটার সাথে একটা লেগে না যায়।
১
গরম রুটির তাওয়াতে ছেপে ছেপে সেঁকে নিন। এই রুটি ফুলে উঠবে না! এই জন্যই মোটা রুটি বলা হয়।
১
ব্যস, পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। তবে মনে রাখবেন, বেশি ক্ষণ ঠাণ্ডায় রাখলে রুটি শক্ত হয়ে যাবে, তাই বানানোর সাথে সাথে খেতে পারলে মজাই মজা।

Thursday, May 30, 2013

tips



১।

 ভিজিয়ে রাখা বা ম্যারিনেশান : বেশির ভাগ রান্নার ক্ষেত্রেই আগে থেকে খাদ্যসামগ্রী মসলাতে ভিজিয়ে রাখা বা ম্যারিনেশন একান্ত জরুরি। এতে রান্নার স্বাদ বাড়ে এবং সহজে রান্নাও হয়ে যায় তথা সময়েরও সাশ্রয় হয়। ভাত বা পোলাও বা ফ্রাইড রাইস বা বিরিয়ানি যাই রান্না হোক না কেন রান্নার আগে যদি আধ ঘন্টা কিছুটা লবণ এবং লেবুর রসে চাল ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে চাল সেদ্ধ হবে তাড়াতাড়ি এবং নরম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

২।

 বেকিং : বেকিং ওভেনে রান্না করতে হলে অবশ্যই কাঁচা খাদ্যদ্রব্যকে ম্যারিনেট করতে হবে এবং ওভেন প্রথমে নির্ধারিত তাপমাত্রায় গরম করে নিতে হবে। তা না হলে খাদ্যবস্তুর উপরের অংশ পুরে যাবে কিন্তু ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে।

৩।

 কাস্টার্ড : দুধ, চিনি এবং ডিমের মিশ্রিত রান্নাকে কাস্টার্ড বলে।

৪।

 কাবাব : মাছ এবং মাংসে দরকার মতো ঝাল, লবণ ইত্যাদি ও তার সঙ্গে ঘি মিশিয়ে জ্বলন্ত চুলায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসিয়ে নেওয়াকে শিক কাবাব বলে। বেশি করে তেল বা ঘি দিয়ে ভেজে শামি কাবাব বা হাঁড়ি কাবাব তৈরি করা হয়।

৫ কোর্মা : পানির সংস্পর্শে না এনে বেশি ঘিয়ে দই দিয়ে অল্প জ্বালে রান্না করাকে কোর্মা বলে।

৬ কালিয়া : ঝাল ও কালিয়া প্রায় একরকম। মরিচ, রসুন, আদা, ধনে, জিরা ইত্যাদি বাটা দিয়ে রান্না হয়। অনেক সময় একটু তেঁতুল বা দই দিয়ে স্বাদ বৃদ্ধি করা হয়।

৭ গ্রেভি : বিভিন্নভাবে ‘গ্রেভি’ করা যায়। এটাকে কারি বলে। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, নারকেল, পোস্তদানা, ধনে, জিরা, বাদাম প্রভৃতি বেটে তার সঙ্গে দই, টমেটো দিয়ে ঘন করে গ্রেভি তৈরি করা হয়। কিছু মসলা কড়াইতে গরম করে নিলে গ্রেভির স্বাদ বৃদ্ধি পায়।

৮ বাসনপত্র : রান্নার ক্ষেত্রে বাসনপত্রের ভূমিকা যথেষ্ট। যেমন ডিমের ওমলেট করতে গেলে ফ্রাই প্যানে সুবিধা হয়। তেমনি মোগলাই পদ রান্না করতে তামার প্লেট বিশেষ উপযুক্ত হয়। চাইনিজ রান্না করতে নির্দিষ্ট আকারের কড়াই প্রয়োজন। আবার তন্দুর করার জন্য প্রয়োজন তন্দুরবাটি বা লোহার তৈরি বারবিকিউ।

৯ কড়াইতে তেল দেওয়ার আগে যদি খালি কড়াই ভালো করে গরম করে নেওয়া হয় তাহলে পোড়ার দাগ ধরে না সহজে।

১০ পাউডার দুধ তাড়াতাড়ি গুলতে শুকনো ডিশে পাউডার দুধের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিয়ে তারপর ঠান্ডা বা গরম যে কোন পানি দিয়ে দুধ গোলা যায় সহজে।

১১ ওল, কচু বা কচু শাক রাধার সহজ উপায় সামান্য তেঁতুল ব্যবহার করা বা ওল ভাতের সঙ্গে খাবার সময় লেবুর রস ব্যবহার করলে গলা চুলকানির কোনো ভয় থাকে না।

১২ প্রেসার কুকার ছাড়া তাড়াতাড়ি মাংস সেদ্ধ করার সহজ উপায় কয়েক ফোঁটা পেঁপের আঠা বা কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁপে অথবা একটা গোটা সুপারি দিয়ে মাংস রান্না করা।

১৩ সুজি ভালো করে রাখতে শুকনো খোলায় যদি সুজিকে ভেজে রাখা হয় তাহলে পোকা ধরে না।

১৪ পাটালি গুড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে গুড়ের কৌটায় কয়েকটা মুড়ি ফেলে রাখা যেতে পারে।

১৫ বিস্কুটকে মুচমুচে রাখতে মুড়ির টিনে ভরে রাখুন।

১৬ হাতে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করতে হাতে সরষের তেল মেখে নিলে গন্ধ থাকে না।

১৭ দুধের বাটি পুড়ে গেলে দু-একটা পেঁয়াজ বেটে ওই বাটিতে পেঁয়াজবাটা ও পানি দিয়ে কিছুণ ফোটালে বাটি পরিষ্কার হয়ে যায়।

১৮ কেরোসিনের গন্ধ দূর করতে হাতে সরষের তেল মেঝে নিলে গন্ধ থাকে না।

১৯ পাতিলেবু টাটকা রাখতে হলে ঠান্ডা পানির মধ্যে রাখা লেবুকে মাটির নিচে পুঁতে রাখলে লেবু কয়েকদিন টাটকা থাকে।

২০ অড়হর ডাল তাড়াতাড়ি গলাতে হলে ফুটন্ত ডালে দু-চারটে চাল ফেলে দিলে ডাল তাড়াতাড়ি গলে যায়।

২১ পাটা সহজে পরিষ্কার করতে কিছুটা লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে দিলে পরিষ্কার হয়ে যায়।

২২ কম টকের দই তৈরি করতে দুধে একটুকরো নারকেল ফেলে রাখলে দই তেমন টক হয় না।

২৩ তরকারির খাদ্যগুণ ঠিক রাখার জন্য রান্নার সময় সামান্য তেঁতুল ফেলে দিন।

২৪ গরম চা বা কফি খেতে গিয়ে অনেক সময় জিভে ছ্যাঁকা লাগে তখন যদি মুখে কিছুটা চিনি দিয়ে রাখা যায় বিশেষ উপকার পাবেন।

২৫ চাল ও ডালে শুকনো নিমপাতা বা মরিচ রাখলে পোকা ধরে না।

২৬ করলা বা পটলের মাঝখানটা কেটে দু টুকরো করে রাখলে বেশি দিন ভালো থাকে (রান্না ঘরে)।

২৭ পেঁয়াজ কাটার আগে দুফালি করে কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখলে চোখে যন্ত্রণা দেবে নাএবং পানি গড়াবে না।

২৮ দেশলাই বাক্সে কয়েকটা চাল রাখলে বর্ষাকালে কাঠির বারুদ ঠিক থাকে।

২৯ কাঁচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরম কিছু ঢালার আগে চামচ রাখলে গ্লাস সহজে ফাটে না।

৩০ প্লেটে যদি মাছের গন্ধ হয়ে যায় তাহলে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার ছিটিযে ধুয়ে নিলেই আর গন্ধ থাকবে না।

৩১ ফ্রিজের মধ্যে খাবার সোডা এক প্যাকেট রেখে দিলে ফ্রিজের ভেতর আর গন্ধ থাকবে না।

৩২ গরম মসলার গুঁড়া এয়ার টাইট প্যাকেটে ভরে রাখলে ভালো থাকবে অনেক দিন।

৩৩ খেজুর গুড় দিয়ে পায়েস করতে গেলে অনেক সময়ই দুধটা ফেটে যায়। সে ক্ষেত্রে দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে গুড় মেশাতে হবে। এবার আর একবার ফুটিয়ে নিলেই
চমৎকার গন্ধ হবে।

৩৪ লুচির ময়দায় ময়ান মিশিয়ে যখন দেখা যাবে মুঠো পাকালে ময়দা ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝতে হবে ময়ানের পরিমাণ ঠিক হয়েছে।

৩৫ আচার তৈরি করার আরও একটি ভালো উপায় হলো তেল প্রথমে গরম করে নিয়ে তারপর ঠান্ডা করে ব্যবহার করা, এতে ছাতা পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। কাঁচা তেল ব্যবহার না করাই ভালো।

৩৬ আচার তৈরি করার সময় তেলে সব সময় একটু ভিনেগার মিশিয়ে নিন। আচার ভালো থাকবে এবং আম অথবা যে জিনিসেরই আচার হোক না কেন টুকরোগুলো আস্ত থাকে।

৩৭ অনেক রান্নাতেই চিনাবাদম অথবা কাজু বাদামের ভাজার কথা বলা থাকে। কিন্তু বাদাম ভাজতে গেলে প্রচুর তেল লাগে। এত তেল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। বাদামে সামান্য তেল মাখিয়ে শুকনো তাওয়াতে নাড়াচাড়া করে নিলে তেল লাগবে অনেক কম।

৩৮ মরিচ কাটলে বা বাটলে হাত অসম্ভব জ্বালা করে। ঠান্ডা দুধের সর লাগান। জ্বালা জমে যাবে। অথবা ঠান্ডা দুধ দিয়ে ধুয়ে নিন। হাত পুড়ে গেলেও তখনি ঠান্ডা দুধ দেবেন। ফোসকা পড়বে না, জ্বালাও কমে যাবে।

৩৯ সালাদে বা অন্য কোনোভাবে কাঁচা শাকসবজি খেতে হলে সেগুলো ধুয়ে সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ভিজার পর তবেই ব্যবহার করবেন। এতে জীবাণু সংক্রমিত হয় না।

৪০ কেক বানাতে গিয়ে যদি দেখেন ডিম নেই, ঘাবড়াবেন না। প্রতিটি ডিমের বদলে এক টেবিল চামচ দুধ ও দুই চা চামচ কর্নফাওয়ার ব্যবহার করুন।

৪১ চায়ের কাপে লেগে থাকা বাদামি দাগ তুলতে হলে লবণ দিয়ে মাজুন।

৪২ মাসের মধ্যে কমপে দুবার গ্যাসের বার্নার, কিছুক্ষণ কোরোসিনের তেলে ডুবিয়ে রাখলে বার্নারের ফুটোয় ময়লা জমবে না।

৪৩ পোড়া দাগ যদি খুব পুরনো হয়ে যায় তাহলে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা, আধাকাপ ভিনেগার আর এক কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে দশ মিনিট ফোটান, এরপর ভালোভাবে ধুলেই দাগ উঠে যাবে।

৪৪ পাতলা কাঁচের থালা পরিষ্কার করার জন্য কখনো পানিতে ডোবাবেন না। ফেটে যেতে পারে। ভিনেগার দিয়ে পরিষ্কার করলে ঝকঝকে থাকবে।

৪৫ স্টেনলেস স্টিলের প্লেটের গায়ে লেগে থাকা দাগ পরিষ্কার করতে চাইলে একটুকরো সাদা কাপড় ভিনেগারে ডুবিয়ে ঘষলেই প্লেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৪৬ কাঁচের প্লেটের দাগ টুথপেস্ট দিয়ে ঘষে দিলে সহজেই উঠে যায়।

৪৭ কিসমিসের গায়ে ছাতা ধরা আটকাতে হলে কিসমিসগুলোকে ময়দার মধ্যে নাড়াচাড়া করে নিন। পরে ধুয়ে নিলেই ব্যবহার করা যাবে।

৪৮ মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় কাঁটা বিধে যায়। প্রথম কাঁটা বেধা জায়গায় লবণ দিন। ব্যথা কমবে। কাঁটা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবে।

৪৯ পাটায় ছোট ছোট গর্তে মসলা জমে থাকলে পরিষ্কার হয় না সহজে। কিছুটা বালি দিয়ে বাটুন। পাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৫০ আমরা প্রায়ই নানারকম রান্না করি কলাতায় মুড়ে। যেমন ইলিশ মাছের পাতুরি। কাঁচা পাতা ব্যবহারের সময় প্রায়ই ফেটে যায়। কলার পাতাটি আগে আগুনে সেঁকে নরম করে নিন পাতা ফাটবে না।

৫১ কোনো অনুষ্ঠানে যদি ভুলবশত প্রয়োজন অতিরিক্ত লেবু কাটা হয়ে যায় তবে অতিরিক্ত লেবুগুলোকে লবণের ডিশে রেখে দিন। বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।

৫২ ফ্রিজে একটি পাতিলেবু টুকরো করে কেটে রেখে দিন। ভেতরের যাবতীয় গন্ধ লেবু শুষে নেবে, ফ্রিজ থাকবে পরিষ্কার।

৫৩ কোনো কারণে বেশি খাওয়া হয়ে গেলে অন্তত আধঘন্টা ধরে এক গ্লাস গরম পানি একটু একটু করে খাবেন। এতে হজম হয়ে যাবে।

৫৪ বাদামের খোসা ছাড়াতে গেলে প্রথমে বাদামগুলোকে পাঁচ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রেখে দিন। পানি ঝরিয়ে নিয়ে দেখুন সহজেই খোসা উঠে আসবে।

৫৫ রান্নার সময় সবজির গন্ধ দূর করতে হলে সামান্য পাতিলেবুর রস বা চিনি মিশিয়ে দিবেন।

৫৬ চা করার পর চায়ের পাতা ফেলে না দিয়ে বাড়ির মেঝেতে ঘষুন। মেঝে চকচকে হয়ে যাবে।

৫৭ সরাসরি জ্বারে দিয়ে রুটি না সেঁকাই ভালো। পুরোনো কাপড়ের টুকরো তৈরি করে, তাওয়ার উপরে রাখা রুটির চারপাশে ওই টুকরো দিয়ে চাপ দিলেই রুটি ফুলে উঠবে।

৫৮ অনেক সময় টক দই, বিশেষ খরে পুরোনো হয়ে গেলে বড্ড বেশি টক হয়ে যায়। সে ক্ষেত্র দই কাপড়ের টুকরোয় বেঁধে বেশ খানিকণ ঝুলিয়ে রাখতে হয়। তাতে দইয়ে যে পানি থাকে
তা ঝরে যাবে। এবার প্রয়োজনীয় মাত্রায় দুধ মেশান। টকদই টাটকা ও মিষ্টি হয়ে যাবে।

৫৯ ঘিয়ের গন্ধ অক্ষণ রাখতে হলে গিয়ের পাত্রে একটু আখের গুড় রেখে দিন।

৬০ আলু সেদ্ধ করার পর এ পানি দিয়ে যদি প্লেট ধোওয়া যায় তাহলে প্লেট ঝকঝকে হবে।

৬১ টাটকা পেঁপের ঘন কষ একটা কাঁচ বা ছোট প্লেটে রাখুন। কষ জমে গেলে, কষের সমপরিমাণ লবণ মিশিয়ে রোদে দিন। শুকিয়ে গেলে গুঁড়ো করে মুখ বন্ধ শিশিতে রেখে দিন। মাংসের
পরিমাণ বুঝে ১/২ চা চামচ বা ১ চা চামচ গুঁড়ো কষ কাটা মাংসে ভালো করে মেখে ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখুন। ঘন্টাখানেক পর মসলা ইত্যাদি দিয়ে যেমন মাংস হয় রান্না করুন। তাড়াতাড়ি মাংস সেদ্ধ হবে। যে সময় বা যে জায়গায় হাতের কাছে কাঁচা পেঁপে নেই অথচ মাংস তাড়াতাড়ি রান্না দরকার তখন ওই গুঁড়োটি কাজে লাগে।

৬২ সব রকম ফলই কেটে স্টিলের বাঁটিতে রাখা ভালো, তাহলে কাটা ফল কাল হয় না।

৬৩ টিনে বা কৌটায় চাল রেখে উপরের দিকে ১-২ আঙ্গুল খালি রেখে নিমপাতা খালি জায়গায় ভালো করে দিয়ে দেবেন। নিমপাতা ছায়ায় রেখে রস শুকিয়ে নেবেন।

৬৪ লাল গুঁড়ি পিঁপড়ের জ্বালায় যখন কোথাও কিছু রাখার উপায় থাকে না দুধ মিষ্টি যেখানে যা রাখা হয় সব জায়গা লাল পিঁপড়েয় ভরে যায়। তখন হাঁড়ি বা প্লেটে যাতে দুধ মিষ্টি রাখবেন
তার গাযে একটু সরষের তেল হাম বা কাপড় দিয়ে লাগিয়ে দিলে আর পিঁপড়ে ধরে না।

৬৫ সুজি, সেমাই শুকনো কড়াইতে কিছুটা বাদামি করে ভেজে মুখ বন্ধ কৌটায় রাখতে চট করে পোকা লাগে না।

৬৬ সালাদ বানাবার লেটুস পাতা অনেক সময় নরম ন্যাতার মতো হয়ে যায়। খুব ঠান্ডা পানিতে ২০ মিনিট রেখে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে নিলে বা এক টুকরো কাঠকয়লা ফেলে দিলেও নরম ভাব কমে যাবে।

৬৭ নারকেল কোরার সঙ্গে খুব মিহি করে কাটা ১টি পেঁয়াজ বা ২টি লবঙ্গ ইচ্ছে হলে সামান্য রসুন শুকনো তাওয়ায় ভালো করে নেড়ে ঠান্ডা হলে বোতলে বদ্ধ করে রাখবেন। রান্নায় কখনো কখনো ব্যবহার করে দেখবেন। তাজা নারকেলের চেয়ে স্বাদ কম হবে না।

৬৮ ঘি বেশি দিন ঘরে থাকলে কেমন একটা কটু গন্ধ হয়ে যায়। ভাত বা তরকারিতেও খাওয়া যায় না। এই রকম ঘি একটি ডেকচিতে বা কোনো প্লেটে ঢেলে দুধ দিয়ে জ্বালে বসান। ঘিয়ের সঙ্গে দুধ জ্বাল দিয়ে দুধ শুকিয়ে যখন ঘিয়ের চাঁছির রং হবে তখন নামিযে ছেঁকে নিন। কটু গন্ধ চলে যাবে।

৬৯ পেঁপের কষে অনেকের অ্যালাজি হয়। হাতে গুঁড়ি গুঁড়ি ফুসকুড়ি হয়। আস্ত পেঁপে বটি দিয়ে বড় বড় খন্ড করে কেটে একটি প্লেটে পানি নিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখুন। হাত না লাগিয়ে পানি ফেলে দিয়ে আবার পানি নিয়ে খন্ড পেঁপেগুলোর কষ ধুয়ে ফেলে পছন্দমতো টুকরায় কেটে নিন। এতে হাতের অত দূরাবস্থা হবে না।

৭০ সরষে বাটার সময় সরষেতে একটু লবণ দিয়ে বাটলে সরষে তিতা হয় না।

৭১ রান্না তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক ও সামান্য মিষ্টি দিলে লবণাক্ত স্বাদ কমে যবে।

৭২ ছোট করে কাটা বেগুনে রান্নার কিছু আগে লবণ মাখিয়ে রেখে কিছুণ পরে কিছু পানি ফেলে দিয়ে ভাজলে, ভাজতে তেল কম লাগে।

৭৩ দই দিয়ে কষে যে সব রান্না করা হয় তাতে অনেক সময় দই ছানা ছানা হয়ে যায়। দইয়ের সঙ্গে সামান্য ময়দা দিয়ে ফেটিয়ে মসলা কসার সময় দিলে দই ছ্যাঁকরা কম হয়।

৭৪ যে পানিতে বা কাগজি লেবু চিপলে রস বের হতে চায় না, সেই রকম লেবু কিছুক্ষণ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ও চিপলে অনেক রস বের হবে।

৭৫ কাঠের ডিশে লবণ রাখলে বর্ষাকালে লবণের নিচে ব্লটিং কাগজ বা ওই রকম কিছু কাগজ ভাজ করে রেখে দিলে লবণের অনেক পানি কাগজে টেনে নেয়। লবণ মোটামুটি শুকনো থাকে।

৭৬ আলু গোল না করে কেটে লম্বালম্বি করে কাটলে সহজে সেদ্ধ হয়।

৭৭ হলুদের গন্ধে অনেক সময় তরকারির স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। লোহার কিছু পুরিয়ে সেটা তরকারির মধ্যে ডুবিয়ে নিলে হলুদের গন্ধ অনেকটা কমে যায়।

৭৮ রান্নার সময় হাতে অনেক সময় হলুদের ছোপ লেগে যায়। কিছুতেই উঠতে চায় না। কাপড় কাচার সোডা হাতে বেশ করে ঘষে, ভালো করে হাত ধুয়ে একটু গ্লিসারিন হাতে ভালো করে লাগালে সোডা দিয়ে ঘষার জন্য হাত খসখসে লাগবে না ও হলুদের রঙও অনেকটাই উঠে যাবে।

৭৯ রান্না করার পর বাটা মসলা অনেক সময় বেশি হয়ে যায়। বাসি হলে বাটা মসলা খারাপ হয়ে যায়। বাড়িতে ফ্রিজ না থাকলে বাটা মসলায় লবণ মাখিয়ে জালের নিচে রাখলে ২-৩ দিন ভালো থাকবে।

৮০ রসুনের খোসা ছাড়ানোর আগে অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখালে খোসা ছাড়াতে সুবিধা হয়। নখেও ব্যথা লাগে না।

৮১ রান্না করার পর ছ্যাঁকা লাগলে বা গরম তেল ছিটে হাতে বা অন্য কোথাও পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় লবণ দিয়ে চেপে কিছুক্ষণ বেঁধে রাখলে ফোসকা পড়ে না। লবণ ও মাটি একত্রে
মোটা করে লাগালে জ্বালা কমে, ফোসকা পড়ে না।

৮২ মোচা ও কচু কাটার সময় হাতে বারবার লবণ মাখিয়ে নিলে মোচা ও কচুর কষ হাতে লাগবে না।

৮৩ ঠান্ডা ভাত গরম করতে হলে ডিশে পানি চড়িয়ে তাতে লবণ দেবেন। পানি ফোটামাত্র ঠান্ডা ভাত ঢেলে একটু ফুটিয়ে নামিয়ে মাড় গেলে ফেলবেন। তাতে ভাত ঝরঝরা হবে।

৮৪ কাঁচা মুগ ডাল ভেজে পানিতে ধুয়ে নিলে ডালের রং কালো হয় না, না ধুলে ডালের কুড়া ভাজা হয়ে কালো রং হয়। ডালের সঙ্গে কুড়া থাকলে ডালের রং উজ্জ্বল হয় না।

৮৫ ভাজা মুগ পানিতে রান্না করার পর কেমন যেন কালচে ফ্যাকাসে লাগে। ভাজা সোনামুগ ডালে সে আগের রং দেখা যায় না। ডাল বাঘার দেওয়ার সময় ফোড়ন পুড়ে এলে সমান ১ চামচ চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি গলে লাল ফেনা হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই সেদ্ধ ডাল ঢেলে, নেড়ে মিশিয়ে দিন। মরিচবাটা, হলুদবাটা না দিয়েও সোনামুগের ডালের সুন্দর রং হবে। ছোলার ডালেও কোন বাটা মসলা না দিয়ে শুধু চিনি পুড়িয়ে এই রকম করে দিলে সুন্দর রং হবে।

৮৬ শসা কাটার সময় শসার বোঁটার দিকে চাকা করে কেটে সেই চাকাটি শসার কাটা জায়গায় গোল করে ঘষতে থাকলে ফেনা ফেনা মতো বের হবে। এটা শসার তিতা কষ। যদি শসা তিতা স্বাদের হয়, এই কষ বের করলে তিতা কম লাগে। শসার মাথার দিক থেকে বোটার দিকে লম্বালম্বি খোসা ছাড়াবেন। এতে তিতা কম লাগে।

৮৭ কাঁচামরিচ বড় মুখের বোতলে বা প্লাস্টিকের থলেতে রেখে ভালো করে বদ্ধ করে রাখরে ২-৩ দিন বেশ টাটকা থাকে।

৮৮ ১ চা চামচ বেকিং পাউডারের বদলে ১/৪ চা চামচ সোডা ও ১/২ চা চামচ ক্রিম অফ টার্টার মেশালে ফল হবে।

৮৯ ব্রেড ক্রাম্বের গুঁড়ো কর্নফাওয়ার, সুজি ব্যবহার করা যায়।

৯০ কাঁঠাল কাটার আগে আস্ত কাঁঠাল পানিতে ডুবিয়ে ১৪/১৫ মিনিট সেদ্ধ করে কিছুটা ঠান্ডা হলে রান্নার জন্য পছন্দমতো কেটে নিন। কাঁঠালের আঠার ঝামেলা থাকবে না।

৯১ লবঙ্গ রান্নায় দেওয়ার আগে ফুল ফেলে দিবেন। লবঙ্গের ফুলে অনেক সময় তরকারি তিতা স্বাদের হয়ে যায়।
11

Tuesday, April 23, 2013

juice শরবত


তীব্র গরমে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এক গ্লাস ঠাণ্ডা শরবত হলে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে প্রাণটা যেন জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন এক শরবত খেতে তো আবার ভালো লাগবেনা তাই আপনাদের জন্য এসময়ে তৈরি করতে পারেন এমন কয়েকটি শরবত তৈরির পদ্ধতি:

তরমুজের জুস
বাড়িতে তরমুজের জুস তৈরির জন্য নিচের উপকরণ ব্যবহার করুন.
তরমুজ – ২ কাপ, ১৫০ গ্রাম চিনি, লেবু-১টি, আদা কুচি- ১ চা চামচ, চাট মশলা- ১ চা চামচ, বরফ কুচি- ১কাপ
প্রস্তুত প্রণালী:

তরমুজের চামড়া এবং বীজ ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে নিন।
ব্লেন্ডারে চিনি ও লেবুর রস দিয়ে আদা কুচি যোগ করুন। এবার ১২ সেকেন্ড ব্লেন্ড করে চাট মশলা ও বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
চকলেট মিল্ক শেক 
উপকরণ:
৪ কাপ ঠাণ্ডা দুধ, ২ টেবিল চামচ মিষ্টি কোকো চকলেট, ২ কাপ বরফ
চকলেট মিল্ক শেক তৈরির প্রণালী:
ব্লেন্ডারে দুধ চকলেট ও বরফ একসঙ্গে নিয়ে ৩০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন। 
স্বচ্ছ গ্লাসে মিল্ক শেক নিয়ে চাইলে ওপরে ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।
কাঁচা আমের জুস
উপাদান:
২টি কাঁচা আম, ১ কাপ চিনি, বরফ কুচি ২ কাপ, জিরা গুঁড়া-১ চা চামচ, ফ্রুটস কালার ২ ফোঁটা, লবণ ও গোল মরিচ গুঁড়া সামান্য।
যেভাবে করবেন:
প্রথমে আমগুলো ধুয়ে কুচি করে কেটে নিন। এবার আম কুচি, চিনি, রঙ, লবণ,জিরা গুঁড়া গোল মরিচ গুঁড়া এবং বরফ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
তৈরি হয়ে গেল কাঁচা আমের জুস।
পাকা বেলের শরবত
উপকরণ :
পাকা বেল ১টি, দই ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, পানি ৪ গ্লাস, বরফ কুচি পরিমাণ মতো।
প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে বেল ফাটিয়ে বেলের ভেতরের অংশ বের করে বিচি ফেলে দিন। এবার ঠাণ্ডা পানি ও বেল ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ছেঁকে গ্লাসে ঢেলে দই ও চিনি মিশিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
স্ট্রবেরি জুস
উপাকরণ:

টাটকা স্ট্রবেরি: ২ কাপ, চিনি: ২ চা চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স: ১ চা চামচ, পানি: ১ কাপ, ঠাণ্ডা
প্রণালী:
স্ট্রবেরি টকুরো করে নিন। ঠান্ডা পানি চিনি এবং ভ্যানিলা দিয়ে ১০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন।
ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

ভ্যানিলা আইসক্রিম

এই গরমে ঠাণ্ডা আইসক্রিমের চেয়ে লোভনীয় খাবার কমই আছে। ছেলে বুড়ো সবাই এর ভক্ত। আসুন মজার একটি আইসক্রিম ঘরেই তৈরি করি। 
যা যা লাগবে:

হুইপ ক্রিম ২ কাপ, ২ কাপ ফ্রেশ ক্রিম, চিনি ৪ টেবিল চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স ১ টেবিল চামচ। 

যেভাবে করবেন:

প্রথমে একটি পাত্রে হুইপ ক্রিম এবং ফ্রেশ ক্রিমে চিনি দিয়ে খুব ভালো করে ফেটে নিন। যতক্ষণ পর্যন্ত চিনি মিশে না যায়। 

এবার ভ্যানিলা এসেন্স দিন। ভালো করে বিট করুন। একটি বলে মিশ্রণটি ঢেলে ঠাণ্ডা করতে ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন।

মিশ্রণটি বের করে এবার খুব ভালো করে বিট করুন। মিশ্রণটি ফোম হয়ে গেলে আবার ৮ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রাখুন। 

এইতো, তৈরি হয়ে গেল দারুণ মজার ভ্যানিলা আইসক্রিম। পছন্দ মতো বাদাম, স্ট্রবেরি অথবা চেরি দিয়ে সাজিয়ে সুন্দর স্বচ্ছ একটি বাটিতে পরিবেশন করুন। 

মোরগ পোলাও


বাড়িতে অতিথি এলে বিশেষ মেন্যুতে যোগ করতে পারেন দারুণ মজাদার মোরগ পোলাও।
উপকরণ 
: চাল আধাকেজি, ২টি মুরগি (চার টুকরো করা), ঘি ১ কাপ, পেয়াজ বাটা-১ কাপ, আদা বাটা-২ চা চামচ, রসুন বাটা- ২ চা চামচ, এলাচ-৬ টি, দারুচিনি- ৪ টুকরো, জয়ত্রি, জয়ফল, লবঙ্গ, শাহি জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, পেস্তাবাদাম, আলুবোখারা, তেল- আধা কাপ, টকদই-১ কাপ, কাঁচামরিচ, গোলমরিচ, লবণ পরিমাণ মতো, শুকনা মরিচ, পেয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ।  
প্রণালী: মুরগি চার টুকরা করে নিন। মাংসের টুকরোগুলো আধা ঘণ্টা লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মুরগির টুকরোগুলো  তুলে নিয়ে পেয়াজ, আদা- রসুন বাটা, গরম মসলা গুঁড়া ও টকদই মেখে কিছু সময় রেখে দিন।
মেরিনেট করা মাংস পাত্রে জয়ফলসহ বিভিন্ন মসলা দিয়ে চুলায় দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। মাংস সিদ্ধ হয়ে এলে, মাংসগুলো তুলে রেখে সেই পাত্রের তেল ও মসলায় চাল আধা সেদ্ধ করে রাখুন।
এবার পোলাও এবং মাংস কয়েক লেয়ারে সাজিয়ে ওপরে বেরেস্তা দিয়ে চুলার তাপ কমিয়ে আধা ঘণ্টা পাত্রে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন।
খাওয়ার ঠিক আগে ঢাকনা খুলে পাত্রে সাজিয়ে সালাদসহ গরম গরম পরিবেশন করুন।

ফালুদা


আমরা প্রতিদিন ইফতারে বেশি বেশি ফল খেতে বলছি। তবে একভাবে খেতে ভালো লাগেনা। তাই পরিবেশনে চাই ভিন্নতা। আজ আমরা খুব সহজে ঝটপট তৈরি করবো মজাদার এবং পুষ্টিকর ফালুদা।

উপকরণ: ১/২ কাপ সাবু দানা, ১ কাপ গুড়ো দুধ, ২ টেবিল চামচ চিনি, আধা কাপ আম কুচি, ১/২ আপেল কুচি, ২ টেবিল চামচ আঙ্গুর কুচি, ২ টেবিল চামচ সিরাপ, বরফ কুচি।
প্রণালী: পানি দিয়ে সাবু দানা সিদ্ধ করে নিন। হালকা গরম পানির সঙ্গে চিনি ও দুধ গুলে নিন।
এরপর একটি স্বচ্ছ পাত্রে ওই দুধের মধ্যে একে একে সাবু দানা, আম কুচি, আঙ্গুর কুচি, আপেল কুচি দিতে হবে। সবশেষে সিরাপ ও বরফ কুচি দিয়ে ইফতারে পরিবেশন করুন পুষ্টিকর ফালুদা।

বিরিয়ানি


শীতের সময়ের সব চেয়ে বড় উপহার মনে হয় টাটকা পুষ্টিকর সব সবজি। কিন্তু আমাদের অনেকের বাড়িতেই যত উৎসাহ নিয়ে সবজি কেনা হয় সেভাবে আগ্রহ করে খাওয়া আর হয় না। পরিবারের সদস্যরা স্বাভাবিকভাবে রান্না করা সবজি খেতে না চাইলে একটু অন্যভাবে চেষ্টা করুন। খুব সহজে রান্না করুন চিকেন ভেজিটেবল বিরিয়ানি।

উপকরণ: পোলাও এর চাল আধা কেজি, ফুলকপি ১টি, গাজর কুঁচি ১ কাপ, আলু কিউব করে কাটা ১ কাপ, বরবটি কুঁচি ১ কাপ, মটরশুঁটি ১ কাপ, মুরগির মাংস কিউব ২ কাপ, পেঁয়াজ কুঁচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৬টি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ , রসুনবাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া সামান্য, জয়ফল ও ছোট এলাচ গুঁড়া ১ চা চামচ, কাজু বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ ঘি বা তেল পরিমাণমতো, লবণ ও পানি পরিমাণমতো।
যেভাবে করবেন: প্রথমে চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। সবজিগুলো ধুয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে মসলায় মাংস দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ পর সিদ্ধ সবজি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
এবার আলাদা পাত্রে পোলাও রান্না করুন। কিছু পোলাও তুলে রেখে মাংসসহ সবজিগুলো কয়েক ধাপে সাজিয়ে ওপরে পোলাও দিয়ে পাত্রে ঢাকনা দিয়ে চুলার আচ কমিয়ে ১৫ মিনিট রেখে নামিয়ে দিন দারুণ মজার পুষ্টিকর কমপ্লিট ডিস চিকেন ভেজিটেবল বিরিয়ানি।

রেসিপি


তৈরি করুন মজাদার নানা স্বাদের পুডিং। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু এই পুডিংগুলো খুব সহজেই তৈরি করা যায়। ট্রাই করেই দেখুন:
ক্যারামেল পুডিং
যা লাগবে: দুধ আধা লিটার, ডিম চারটি, চিনি ১০০ গ্রাম, কর্ণফ্লাওয়ার এক টেবিল চামচ, লবণ সামান্য, এলাচ দুটি, দারচিনি এক টুকরো।
প্রণালী: প্রথমে দুধ জ্বালিয়ে ঘন করে নিন। ডিম দিয়ে ভালো করে বিট করুন এবার চিনি ও কর্ণফ্লাওয়ারসহ সব উপকরণ দিয়ে খুব ভালো করে ফেটে নিন। মিশ্রণ থেকে এবার এলাচ এবং দারচিনি তুলে ফেলুন।
তৈরি: একটি ঢাকনাসহ স্টিলের বক্সে প্রথমে একটু চিনি দিয়ে চুলায় দিন। যতক্ষণ চিনি বাদামী রঙ না হয় সে পর্যন্ত পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব জায়গায় ক্যারামেল লাগান। এবার ক্যারামেল শক্ত হয়ে গেলে পুডিং এর মিশ্রণ ঢেলে মুখ বন্ধ করে প্রেসার কুকারে পরিমানমতো পানি দিয়ে ১০ টি সিটি দিন। বক্সটি বের করে দেখুন পুডিংটি ঠিকমতো হয়েছে কিনা। নরম মনে হলে আরও দুটি সিটি দিন।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার ক্যারামেল পুডিং। ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন। 
দই পুডিং
উপকরণ: ডিম ২টি, গুড়া দুধ ১ কাপ, দই ১ কাপ, চিনি ২টেবিল চামচ, পানি ১/৪ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে পুডিং পাত্রে ঘি ব্রাশ করে নিন। এরপর সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে ব্রেন্ড করে নিয়ে পাত্রে ঢেলে প্রেসার কুকারে এ সিটি ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার প্রেসার কুকারের ঢাকনা খুলে ১০ মিনিট মৃদু আচে চুলায় রাখুন।
ঠাণ্ডা হলে একটি পাত্রে পুডিং রেখে ওপরে পছন্দমতো ফল দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ক্রিম পুডিং
উপকরণ: ঘন দুধ ৩ কাপ, চিনি ১ কাপ, ডিম ৫টি, এলাচ গুঁড়ো ২টি, ক্রিম ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করুন। ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, এলাচ গুঁড়ো ও ক্রিম দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে মিশ্রণ ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ৮ সিটি ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পুডিং নিজে থেকে ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন।
চকলেট পুডিং
উপকরণ: ডিম ৪টি, চকলেট সিরাপ ১ টেবিল চামচ, কনডেন্স মি
ল্ক ২ টেবিল চামচ, গুড়া দুধ আধা কাপ, পানি ১ কাপ, চকলেট পছন্দ মতো, কোকো পাউডার সামান্য।
যেভাবে তেরি করবেনঃ ডিম ফেটে নিন। চিনি দিন, কনডেন্স মিল্ক, গুড়া দুধ ও পানি দিন। কোকো পাউডার, চকলেট দিন। পাত্রে মিশ্রণ ঢেলে প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ৮ সিটি দিন। এবার পুডিং পাত্রটি তুলে ঢাকনা খুলে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

সহজে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার কিছু টিপস:


এবার গ্রীষ্মের শুরুতেই বেশ গরম। গত কয়েকদিন ধরে দেখছি রাতে খাবার বাইরে রাখলে সকালে নষ্ট হয়ে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। আবার সকালে খাবার গরম করে রেখে এলেও সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখা যায় সে খাবারও আগের মতো ফ্রেশ থাকছে না।
ছোট সংসারে দুজনই কাজের জন্য বাইরে থাকতে হয়। সবসময় রান্না করা সম্ভব হয়ে ওঠে না তাই আমাদের জানতে হবে সহজে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার কিছু টিপস:
  • রান্না করা খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখার আগে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে
  • গরম খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না
  • গরমে দিনে রান্না করা খাবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার আগেই সংরক্ষণ করতে হবে
  • একবারে বেশি পরিমাণ খাবার রান্না না করে প্রয়োজন মতো রান্না করতে হবে
  • ভাত তরকারি খাওয়া শেষে মনে করে রেফ্রিজারেটরে রাখুন
  • ডাল, সেদ্ধ আলু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই খাওয়ার পর বাকি অংশ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে হবে
  • খাবারের মান ভাল রাখতে ছোট ছোট বক্সে ঢাকনা দিয়ে খাবার রাখুন
  • বারে বারে লোডশেডিং হলে রেফ্রিজারেটর দরজা বেশি খুলবেন না
  • কাঁচা মাছ বা মাংস ভালো করে ধুয়ে বরফের চেম্বারে রাখতে হবে
  • ছোট ছোট প্যাকেট করে ডিপে রাখুন
  • যতটুকু প্রয়োজন একবারে অতটুকুই বের করুন
  • কাঁচা সবজি, কাঁচামরিচ ঠেসে না রেখে বাজার থেকে আনার পর এগুলোকে ছড়িয়ে রেখে বাতাসে পানি শুকিয়ে গেলে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে
  • কাঁচামরিচের বোঁটা ফেলে রাখুন অনেক দিন ভালো থাকবে
  • রেফ্রিজারেটরে শাকজাতীয় তরকারি পরিষ্কার করে যেকোনো বক্সে রাখতে হবে
  • পরিবারের অন্য সদস্যদেরও বলে রাখুন যেন ফ্রিজে খাবার তুলতে তারাও সাহায্য করে।
অনেকে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করেন না। তারা দুপুরের লাঞ্চ বাসা থেকে নেওয়ার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ রাখবেন:
  • ভাত, পোলাও, খিচুড়ি এসব খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
  • তাই টিফিন বাক্সে খাবার নিয়ে বেরোনোর আগে খাবার বাতাসে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে
  • কখনোই গরম খাবার নেওয়া যাবে না, এতে খাবার গন্ধ হয়ে যেতে পারে
  • যদি খাবার ঠাণ্ডা করার সময় না থাকে, তাহলে কর্মস্থলে গিয়ে খাবারের বক্স একটু খুলে রাখুন
  • কতক্ষণের জন্য খাবার নেওয়া হচ্ছে বিষয়টার ওপর গুরুত্ব দিয়ে খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্বাচন করুন।
সঠিক পদ্ধতিতে খাবার সংরক্ষণ করুন। গরমেও টাটকা খাবার খেয়ে সুস্থ থাকুন।

Monday, March 11, 2013

রান্নাঘরের টুকিটাকি


রান্নাঘরের টুকিটাকি

পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময় রান্নাঘর সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ হয়। আমারকাছে যেগুলি ভালো লেগেছে বা গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে সেগুলির একটি সংকলন এখানে প্রকাশ করলাম। আশাকরি আপনাদের কাজে লাগবে।
  • প্রথমেই খাবার সংরক্ষণ করার জন্য একটি রেফ্রিজারেটর কিনে ফেলুন। খরচ সাশ্রয় হবে।
  • রান্নার সময় সাধারণ হাঁড়ি-পাতিলের পরিবর্তে প্রেসারকুকার ব্যবহার করুন। এতে সময় কম লাগবে।
  • রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাবার দ্রুত গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করুন।
  • কম সময়ে রান্না করার জন্য বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডে প্রস্তুতকৃত গুঁড়া মসলা ও সস হাতের কাছে রাখুন।
  • পরদিন রান্না করার জন্য মাংস সেদ্ধ এবং ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
  • ভাত রান্না করার ক্ষেত্রে রাইসকুকার ব্যবহার করুন।
  • সবজি পরিষ্কার করে কেটে প্যাকেটজাত করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। এতে কম সময় ব্যয় হবে।
  • রান্নার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
  • বাজার থেকে মাছ-মাংস কেনার সময় পরিষ্কার করে কেটে নিয়ে আসুন। এতে কাজে সুবিধা হবে।
  • খাবার বেশিক্ষণ গরম রাখার জন্য হটপট বা তাপ অপরিবাহী পাত্র ব্যবহার করুন।
  • রান্নার সময় কোনো কিছু মাপার জন্য পরিমাপক পাত্র (কাপ, চামচ) ব্যবহার করুন। কাজে সুবিধা হবে।
  • ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ এড়াতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন। আঁশটে গন্ধ থাকবে না।
  • ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে আধা চা চামচ লবণ দিন। তাতে ডিম তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে এবং ডিম ফাটবে না।
  • চিনিতে পিঁপড়া ধরলে চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন চিনির পিঁপড়া ছেড়ে যাবে।
  • রান্নায় লবণ বেশি হলে তাতে ছোট একটি আলু কেটে দিন। লবণ ভাব কমে যাবে।
  • মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।
  • কড়াইতে তেল দেওয়ার আগে যদি খালি কড়াই ভালো করে গরম করে নেওয়া হয় তাহলে পোড়ার দাগ ধরে না সহজে।
  • পাউডার দুধ তাড়াতাড়ি গুলতে শুকনো ডিশে পাউডার দুধের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিয়ে তারপর ঠান্ডা বা গরম যে কোন পানি দিয়ে দুধ গোলা যায় সহজে।
  • ওল, কচু বা কচু শাক রাধার সহজ উপায় সামান্য তেঁতুল ব্যবহার করা বা ওল ভাতের সঙ্গে খাবার সময় লেবুর রস ব্যবহার করলে গলা চুলকানির কোনো ভয় থাকে না।
  • প্রেসার কুকার ছাড়া তাড়াতাড়ি মাংস সেদ্ধ করার সহজ উপায় কয়েক ফোঁটা পেঁপের আঠা বা কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁপে অথবা একটা গোটা সুপারি দিয়ে মাংস রান্না করা।
  • সুজি ভালো করে রাখতে শুকনো খোলায় যদি সুজিকে ভেজে রাখা হয় তাহলে পোকা ধরে না।
  • পাটালি গুড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে গুড়ের কৌটায় কয়েকটা মুড়ি ফেলে রাখা যেতে পারে।
  • বিস্কুটকে মুচমুচে রাখতে মুড়ির টিনে ভরে রাখুন।
  • হাতে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করতে হাতে সরষের তেল মেখে নিলে গন্ধ থাকে না।
  • দুধের বাটি পুড়ে গেলে দু-একটা পেঁয়াজ বেটে ওই বাটিতে পেঁয়াজবাটা ও পানি দিয়ে কিছুণ ফোটালে বাটি পরিষ্কার হয়ে যায়।
  • কেরোসিনের গন্ধ দূর করতে হাতে সরষের তেল মেঝে নিলে গন্ধ থাকে না।
  • পাতিলেবু টাটকা রাখতে হলে ঠান্ডা পানির মধ্যে রাখা লেবুকে মাটির নিচে পুঁতে রাখলে লেবু কয়েকদিন টাটকা থাকে।

রান্নাবান্নার টুকিটাকি



রান্নার ক্ষেত্রে অনেক শব্দ ব্যবহৃত হয় যেগুলির সাথে অনেকেই পরিচিত না। এরকমই কিছু টিপস্ আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করে এই পাতায় দিলাম। আশাকরি আপনাদের কাজে লাগবে।
  • ভিজিয়ে রাখা বা ম্যারিনেশান : বেশির ভাগ রান্নার ক্ষেত্রেই আগে থেকে খাদ্যসামগ্রী মসলাতে ভিজিয়ে রাখা বা ম্যারিনেশন একান্ত জরুরি। এতে রান্নার স্বাদ বাড়ে এবং সহজে রান্নাও হয়ে যায় তথা সময়েরও সাশ্রয় হয়। ভাত বা পোলাও বা ফ্রাইড রাইস বা বিরিয়ানি যাই রান্না হোক না কেন রান্নার আগে যদি আধ ঘন্টা কিছুটা লবণ এবং লেবুর রসে চাল ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে চাল সেদ্ধ হবে তাড়াতাড়ি এবং নরম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • বেকিং : বেকিং ওভেনে রান্না করতে হলে অবশ্যই কাঁচা খাদ্যদ্রব্যকে ম্যারিনেট করতে হবে এবং ওভেন প্রথমে নির্ধারিত তাপমাত্রায় গরম করে নিতে হবে। তা না হলে খাদ্যবস্তুর উপরের অংশ পুরে যাবে কিন্তু ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে।
  • কাস্টার্ড : দুধ, চিনি এবং ডিমের মিশ্রিত রান্নাকে কাস্টার্ড বলে।
  • কাবাব : মাছ এবং মাংসে দরকার মতো ঝাল, লবণ ইত্যাদি ও তার সঙ্গে ঘি মিশিয়ে জ্বলন্ত চুলায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসিয়ে নেওয়াকে শিক কাবাব বলে। বেশি করে তেল বা ঘি দিয়ে ভেজে শামি কাবাব বা হাঁড়ি কাবাব তৈরি করা হয়।
  • কোর্মা : পানির সংস্পর্শে না এনে বেশি ঘিয়ে দই দিয়ে অল্প জ্বালে রান্না করাকে কোর্মা বলে।
  • কালিয়া : ঝাল ও কালিয়া প্রায় একরকম। মরিচ, রসুন, আদা, ধনে, জিরা ইত্যাদি বাটা দিয়ে রান্না হয়। অনেক সময় একটু তেঁতুল বা দই দিয়ে স্বাদ বৃদ্ধি করা হয়।
  • গ্রেভি : বিভিন্নভাবে ‘গ্রেভি’ করা যায়। এটাকে কারি বলে। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, নারকেল, পোস্তদানা, ধনে, জিরা, বাদাম প্রভৃতি বেটে তার সঙ্গে দই, টমেটো দিয়ে ঘন করে গ্রেভি তৈরি করা হয়। কিছু মসলা কড়াইতে গরম করে নিলে গ্রেভির স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
  • বাসনপত্র : রান্নার ক্ষেত্রে বাসনপত্রের ভূমিকা যথেষ্ট। যেমন ডিমের ওমলেট করতে গেলে ফ্রাই প্যানে সুবিধা হয়। তেমনি মোগলাই পদ রান্না করতে তামার প্লেট বিশেষ উপযুক্ত হয়। চাইনিজ রান্না করতে নির্দিষ্ট আকারের কড়াই প্রয়োজন। আবার তন্দুর করার জন্য প্রয়োজন তন্দুরবাটি বা লোহার তৈরি বারবিকিউ।

Tuesday, February 5, 2013

tea

চাআখতারুন নাহার আলো
বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টি বিভাগ
বারডেম

বিভিন্ন ধরনের পানীয়র মধ্যে চা জনপ্রিয়। এটি উদ্দীপক পানীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ফলমূল বা শাকসবজিতে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, চায়ে তার চেয়ে বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। একই ধরনের চায়ের পাতা থেকে তিন ধরনের চা তৈরি হয়; যেমন_গ্রিন টি, উলং টি, ব্ল্যাক টি। সতেজ সবুজ পাতা রোদে শুকিয়ে তাওয়ায় সেঁকে গ্রিন টি তৈরি করা হয়। গ্রিন টি সামান্য ফার্মেন্ট করলে হয় উলং টি। পুরোপুরি ফার্মেন্ট করলে হয় ব্ল্যাক টি।
উপকারিতা
গুণগত মানের দিক থেকে গ্রিন টি-ই উত্তম। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। ট্যানিক এসিডের জন্য গ্রিন টির লিকার দন্তক্ষয় রোধ করে এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত করে। আবার খুব চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর উলং চায়ের লিকার খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। রক্তে লৌহকণিকা বেশি থাকলে প্রধান খাবারের পরপরই চা খেলে থ্যালাসেমিয়া ভালো হয়। এতে লৌহ শোষণ কম হয়। চা শুধু উদ্দীপকই নয়, শরীর ও মনের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে। চা রক্ত জমাট বাঁধাও দূর করে। হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অনেকের ধারণা, দুধ-চা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আসলে তা নয়। দুধ-চায়ে দুধ ও চিনির জন্য এতে ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যায় এবং কিছুটা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
সতর্কতা
রক্তে পটাসিয়াম বেশি থাকলে চা পান থেকে বিরত থাকুন।

Wednesday, January 2, 2013

HOME TIPS (গৃহস্থালী টিপস)KITCHEN ROOM

গৃহস্থালী টিপস

* বেগুন ও কাঁচকলা কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। পানিতে সামান্য দই দিয়ে কাটা কাঁচকলা ও বেগুন ডুবিয়ে রাখুন কালো হবে না।

* পেঁয়াজ-রসুন কাটার পর হাতে গন্ধ থাকে। সামান্য লেবুর রস বা শর্ষের তেল মাখুন। তারপর হাত ধুয়ে নিন

* মাছে লবণ, হলুদ ও সামান্য ভিনিগার দিয়ে ফ্রিজে রাখলে বাসি গন্ধ হবে না; ফ্রিজেও আঁশটে লাগবে না।

* অনেক সময় চিংড়ি মাছে গন্ধ লাগে। রান্না করার আধঘণ্টা আগে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখুন, এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্না করুন। মাছ বা অন্যান্য সি-ফুড 

রান্নার সময় এভাবে লেবু-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে নিন। আঁশটে গন্ধ হবে না।

* আচার শেষ বোতল পরিষ্কার করার পরও গন্ধ থাকে। ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বোতলে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, গন্ধ থাকবে না।


* কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন, তাহলে ডালের রং আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে চালের সঙ্গে মিশে যাবে।
* যেকোনো লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরো করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টের খরচও কমবে, কাপড়ও ঝকঝকে হবে।
* বালতি কিংবা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরিচার দাগ পড়লে তারপিনের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।
গৃহস্থালির  

* অনেক দিন আলু স্টোর করতে চাইলে প্যাকেটে একটা আপেল রাখুন, আলুতে চারা গজাবে না।
* পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুতে থাকুন, চোখ জ্বালা করবে না।
* মাছ ভাজতে কড়াইতে তেল গরম হলে মাছের ওপর সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন, তেলের ছিটা আসবে না।
* মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে কুচি কটুকিটাকিরে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
* ডাল যত বেশি সময় জ্বালানো হবে স্বাদ ততই বাড়বে। তাই ডাল রান্নার সময় বেশি পানি দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দিন।
* মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।
* মাংস রান্না করে শেষে নামানোর আগে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজা) দিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
* ডিম সিদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবণ দিন। ডিম ফাটবে না আর খেতেও সুস্বাদু হবে। ডিম ঠাণ্ডা করে খোসা ছাড়ান, এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
* রান্নায় খাদ্যমান ঠিক রাখতে যতটুকু সম্ভব তরকারি বড় বড় টুকরা করে কাটুন।
* রান্নায় গরম পানি ব্যবহার করুন, তাড়াতাড়ি রান্না হবে।
* ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ এড়াতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন। আঁশটে গন্ধ থাকবে না।
* চিনিতে পিঁপড়া ধরলে চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন, পিঁপড়া ছেড়ে যাবে।
* তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দিন, কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমবে। ছোট একটি আলু কেটে দিলেও চলবে।
* ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রেখে দিন। বাসন ধোয়ার সময় এই মাড় পানির সঙ্গে ব্যবহার করুন। কাচের ও স্টেনলেস স্টিলের বাসন ঝকঝকে হবে।
* হাতে রান্না করার সময় হলুদের দাগে ভরে গেছে। এক টুকরো লেবু ভালো করে হাতের তালুতে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না।
* কচু কাটার পর হাত কালচে হয়ে যায়। হাত চুলকাতে থাকে। পানি দিয়ে না ধুয়ে লবণ মেখে চুলার তাপে হাতটা কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। চুলকানো বন্ধ হয়ে যাবে।
গৃহস্থালির টুকিটাকি

শর্টকাট টিপস

*লেবু কেটে ফেললেই শুকিয়ে যায়। কাটা লেবু ফ্রিজে রাখতে না চাইলে এর ওপর সামান্য নারিকেল মাখিয়ে খোলা জায়গায় রাখুন।

*হিং অনেক দিন তাজা থাকবে যদি এর সঙ্গে কয়েকটা কাঁচামরিচ রাখেন। দুধে ভিজিয়ে রাখলেও তাজা থাকবে।
*কোল্ড ড্রিংকের ঝাঁজ বের হয়ে গেছে, ফেলে দেবেন না। ঘরের মেঝে, তেলতেলে কিচেন কাউন্টার ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন।
*আঠার টিউব যখন ব্যবহার করবেন না, তখন ফ্রিজে রাখুন। অনেক দিন চলবে, শুকাবে না।
*সাবান ছোট টুকরা হয়ে গেলে ফেলে দেবেন না। পুরনো মোজায় ভরে ড্রয়ারে বা আলমারিতে রাখুন। ভ্যাপসা গন্ধ হবে না। ফ্রেশনারও লাগবে না।
*মোমবাতি ফ্রিজে রাখবেন। অনেক দিন চলবে। তাড়াতাড়ি জ্বলে যাবে না।
*জুতার কালি যদি বেশি দিন পর পর ব্যবহার করেন তা হলে তা শুকিয়ে যায়। এতে দুই ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে রাখবেন; অনেক দিন ভালো থাকবে।
*দামি সেরাম শ্যাম্পু হাতের কাছে নেই। বাড়িতে বানিয়ে নিন সেরাম শ্যাম্পু। দুটো ডিমের সাদা অংশ বের করে নিয়ে এতে দুই টেবিল চামচ রেড়ির তেল মেশান। পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকিমুক্ত ঝলমলে চুল।
*বালতি বা প্লাস্টিকের কোনো জিনিসে মরচে দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন, দাগ চলে যাবে।
*লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরা করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টও কম লাগবে এবং কাপড়ও ঝলমলে হবে।
*চামড়ার জুতাতে ক্যাস্টার অয়েল আর সোল এ বার্নিশ (ম্যাট) লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। বৃষ্টিতে ভিজলেও নষ্ট হবে না।
*ছুরি বা কাঁচিতে মরচের দাগ তোলার জন্য ভিনেগার বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে আধঘণ্টা ফুটিয়ে নিন, দাগ চলে যাবে।
*রুপোর গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন, পরিষ্কার হয়ে যাবে।
*মোচা বা কচু কাটতে গিয়ে হাতে দাগ হয়ে যায়। কাটা শেষে আলুর ফালি আঙুলে ঘষে নিন, দাগ থাকবে না।
*বেগুন পোড়ার পর এর খোসা তুলতে অনেক সময় কষ্ট হয়। তাই বেগুন পোড়ার পর তা পানিতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তুলে পানি ঝরিয়ে খোসা ছড়ান। সহজেই উঠে যাবে।
*ফুলকপি অনেক সময় পরিষ্কার হতে চায় না। তাই কাটার পর ভিনেগার মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এরপর তুলে দেখবেন সব পোকা আর ময়লা বেরিয়ে গেছে।
*দই কি খুব টক হয়ে গেছে। পাতলা কাপড়ে ঢেলে ঝুলিয়ে রাখুন। তবে দইয়ের পানিটা ফেলে দেবেন না। ময়দা মাখার সময় পানির পরিবর্তে ব্যবহার করুন। আর টকদই পরিবেশন বা রান্নার সময় একটু দুধ মিশিয়ে দেবেন।
টিপস

দাগ মেটানোর নানা উপায়

* ছুরি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।

* কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠে যাবে।
* অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে
এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।
* রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।
* বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।
* কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।
* পিতলের জিনিসের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের জিনিসের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।দাগ তোলার সহজ উপায়
অসাবধানতাবশত তেল, কফি, চা, ঝোল পড়ে দাগ হয়ে যায়। সেই দাগ তোলা মুশকিল হয়ে পড়ে। কিভাবে দাগ তুলবেন তার সহজ উপায় দেওয়া হলো

কফি
*কাপড় থেকে কফির দাগ তুলতে হলে কাপড় ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় শুকিয়ে ড্রাইওয়াশ করে নিন।
*সোফার কাভার বা টেবিলক্লথে কফির দাগ হলে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশের সঙ্গে দুই কাপ ঠাণ্ডা পানি মেশান। ওই পানিতে এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে তা দি
য়ে দাগের ওপর ঘষে নিন। দাগ থাকবে না। এ ছাড়া কফির দাগ তোলার জন্য লিকুইড ডিটারজেন্ট ও ভিনেগার একত্রে মিশিয়ে দাগের ওপর ব্যবহার করুন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
*কার্পেটে চা বা কফি পড়ে গেলে এক টেবিল চামচ হ্যান্ডওয়াশ ও এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার দুই কাপ কুসুম গরম পানিতে মেশান। ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধীরে ধীরে মুছুন।

তেল-ঝোল
*রান্না করার সময় কাপড়ে তেল পড়ে গেলে ব্লুটিং পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে প্রি-ওয়াশ স্টোন রিমুভার দিয়ে জায়গাটা মুছে নিন। এরপর সেই কাপড়ের পক্ষে যতটা গরম উপযুক্ত ততটা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। কার্পেটের ওপর তেল পড়লে প্রথমে অতিরিক্ত তেল টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিন। এরপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। পরিষ্কার কাপড় ড্রাইক্লিনিং সলভেন্ট দিয়ে মুছুন। এতেও দাগ না উঠলে এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও দুই কাপ গরম পানি মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর ড্রাইক্লিন করিয়ে নিন।
*তরকারির ঝোলের দাগ পড়লে প্রথমে পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে চেপে অতিরিক্ত তেল তুলে ফেলুন। তারপর বাসন ধোয়ার ডিটারজেন্ট অল্প করে মাখিয়ে রাখুন দাগের ওপর। লেগে থাকা তেলের ভাব অনেকটা কমবে। দুই মিনিট পর আবার কিছুটা ডিটারজেন্ট মাখিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

সস
*জামাকাপড়ে সস পড়ে গেলে অতিরিক্ত সস ঝেড়ে ফেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কার্পেটের ওপর সস পড়লে দুই কাপ কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ মেশান। তারপর পরিষ্কার কাপড় ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে সসের জায়গা মুছুন। এতেও দাগ না উঠলে এক টেবিল চামচ অ্যামোনিয়ার সঙ্গে দুই কাপ কুসুম গরম পানি মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর আবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

কালি
*সাদা কাপড়ে কালির দাগ শুকিয়ে গেলে ফুটন্ত গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ বা লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটিতে কাপড় ভিজিয়ে রাখুন।
*ফলের রসের দাগের ওপর লবণ ছড়িয়ে দিন। অতিরিক্ত লিকুইড শুষে নেয়। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ঝকঝকে করতে চাইলে কালার সেফ ব্লিচ ব্যবহার করতে পারেন।

নেলপলিশ
*নেলপলিশের দাগের ওপর নেলপলিশ রিমুভার লাগিয়ে জায়গাটা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এক চা চামচ পি-এইচ ব্যালান্সড ডিটারজেন্ট পাউডার এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে কাপড় ডুবিয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

* রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।