গৃহস্থালী টিপস
* বেগুন ও কাঁচকলা কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। পানিতে সামান্য দই দিয়ে কাটা কাঁচকলা ও বেগুন ডুবিয়ে রাখুন কালো হবে না।
* পেঁয়াজ-রসুন কাটার পর হাতে গন্ধ থাকে। সামান্য লেবুর রস বা শর্ষের তেল মাখুন। তারপর হাত ধুয়ে নিন।
* মাছে লবণ, হলুদ ও সামান্য ভিনিগার দিয়ে ফ্রিজে রাখলে বাসি গন্ধ হবে না; ফ্রিজেও আঁশটে লাগবে না।
* অনেক সময় চিংড়ি মাছে গন্ধ লাগে। রান্না করার আধঘণ্টা আগে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখুন, এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্না করুন। মাছ বা অন্যান্য সি-ফুড
রান্নার সময় এভাবে লেবু-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে নিন। আঁশটে গন্ধ হবে না।
* আচার শেষ বোতল পরিষ্কার করার পরও গন্ধ থাকে। ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বোতলে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, গন্ধ থাকবে না।
* কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন, তাহলে ডালের রং আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে চালের সঙ্গে মিশে যাবে।
* যেকোনো লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরো করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টের খরচও কমবে, কাপড়ও ঝকঝকে হবে।
* বালতি কিংবা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরিচার দাগ পড়লে তারপিনের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।গৃহস্থালির
* অনেক দিন আলু স্টোর করতে চাইলে প্যাকেটে একটা আপেল রাখুন, আলুতে চারা গজাবে না।
* পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুতে থাকুন, চোখ জ্বালা করবে না।
* মাছ ভাজতে কড়াইতে তেল গরম হলে মাছের ওপর সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন, তেলের ছিটা আসবে না।
* মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে কুচি কটুকিটাকিরে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
* ডাল যত বেশি সময় জ্বালানো হবে স্বাদ ততই বাড়বে। তাই ডাল রান্নার সময় বেশি পানি দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দিন।
* মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।
* মাংস রান্না করে শেষে নামানোর আগে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজা) দিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
* ডিম সিদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবণ দিন। ডিম ফাটবে না আর খেতেও সুস্বাদু হবে। ডিম ঠাণ্ডা করে খোসা ছাড়ান, এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
* রান্নায় খাদ্যমান ঠিক রাখতে যতটুকু সম্ভব তরকারি বড় বড় টুকরা করে কাটুন।
* রান্নায় গরম পানি ব্যবহার করুন, তাড়াতাড়ি রান্না হবে।
* ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ এড়াতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন। আঁশটে গন্ধ থাকবে না।
* চিনিতে পিঁপড়া ধরলে চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন, পিঁপড়া ছেড়ে যাবে।
* তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দিন, কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমবে। ছোট একটি আলু কেটে দিলেও চলবে।
* ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রেখে দিন। বাসন ধোয়ার সময় এই মাড় পানির সঙ্গে ব্যবহার করুন। কাচের ও স্টেনলেস স্টিলের বাসন ঝকঝকে হবে।
* হাতে রান্না করার সময় হলুদের দাগে ভরে গেছে। এক টুকরো লেবু ভালো করে হাতের তালুতে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না।
* কচু কাটার পর হাত কালচে হয়ে যায়। হাত চুলকাতে থাকে। পানি দিয়ে না ধুয়ে লবণ মেখে চুলার তাপে হাতটা কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। চুলকানো বন্ধ হয়ে যাবে।গৃহস্থালির টুকিটাকি
শর্টকাট টিপস
*লেবু কেটে ফেললেই শুকিয়ে যায়। কাটা লেবু ফ্রিজে রাখতে না চাইলে এর ওপর সামান্য নারিকেল মাখিয়ে খোলা জায়গায় রাখুন।
*হিং অনেক দিন তাজা থাকবে যদি এর সঙ্গে কয়েকটা কাঁচামরিচ রাখেন। দুধে ভিজিয়ে রাখলেও তাজা থাকবে।
*কোল্ড ড্রিংকের ঝাঁজ বের হয়ে গেছে, ফেলে দেবেন না। ঘরের মেঝে, তেলতেলে কিচেন কাউন্টার ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন।
*আঠার টিউব যখন ব্যবহার করবেন না, তখন ফ্রিজে রাখুন। অনেক দিন চলবে, শুকাবে না।
*সাবান ছোট টুকরা হয়ে গেলে ফেলে দেবেন না। পুরনো মোজায় ভরে ড্রয়ারে বা আলমারিতে রাখুন। ভ্যাপসা গন্ধ হবে না। ফ্রেশনারও লাগবে না।
*মোমবাতি ফ্রিজে রাখবেন। অনেক দিন চলবে। তাড়াতাড়ি জ্বলে যাবে না।
*জুতার কালি যদি বেশি দিন পর পর ব্যবহার করেন তা হলে তা শুকিয়ে যায়। এতে দুই ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে রাখবেন; অনেক দিন ভালো থাকবে।
*দামি সেরাম শ্যাম্পু হাতের কাছে নেই। বাড়িতে বানিয়ে নিন সেরাম শ্যাম্পু। দুটো ডিমের সাদা অংশ বের করে নিয়ে এতে দুই টেবিল চামচ রেড়ির তেল মেশান। পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকিমুক্ত ঝলমলে চুল।
*বালতি বা প্লাস্টিকের কোনো জিনিসে মরচে দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন, দাগ চলে যাবে।
*লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরা করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টও কম লাগবে এবং কাপড়ও ঝলমলে হবে।
*চামড়ার জুতাতে ক্যাস্টার অয়েল আর সোল এ বার্নিশ (ম্যাট) লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। বৃষ্টিতে ভিজলেও নষ্ট হবে না।
*ছুরি বা কাঁচিতে মরচের দাগ তোলার জন্য ভিনেগার বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে আধঘণ্টা ফুটিয়ে নিন, দাগ চলে যাবে।
*রুপোর গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন, পরিষ্কার হয়ে যাবে।
*মোচা বা কচু কাটতে গিয়ে হাতে দাগ হয়ে যায়। কাটা শেষে আলুর ফালি আঙুলে ঘষে নিন, দাগ থাকবে না।
*বেগুন পোড়ার পর এর খোসা তুলতে অনেক সময় কষ্ট হয়। তাই বেগুন পোড়ার পর তা পানিতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তুলে পানি ঝরিয়ে খোসা ছড়ান। সহজেই উঠে যাবে।
*ফুলকপি অনেক সময় পরিষ্কার হতে চায় না। তাই কাটার পর ভিনেগার মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এরপর তুলে দেখবেন সব পোকা আর ময়লা বেরিয়ে গেছে।
*দই কি খুব টক হয়ে গেছে। পাতলা কাপড়ে ঢেলে ঝুলিয়ে রাখুন। তবে দইয়ের পানিটা ফেলে দেবেন না। ময়দা মাখার সময় পানির পরিবর্তে ব্যবহার করুন। আর টকদই পরিবেশন বা রান্নার সময় একটু দুধ মিশিয়ে দেবেন।টিপস
দাগ মেটানোর নানা উপায়
* ছুরি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।
* কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠে যাবে।
* অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে
এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।
* রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।
* বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।
* কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।
* পিতলের জিনিসের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের জিনিসের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।দাগ তোলার সহজ উপায়
অসাবধানতাবশত তেল, কফি, চা, ঝোল পড়ে দাগ হয়ে যায়। সেই দাগ তোলা মুশকিল হয়ে পড়ে। কিভাবে দাগ তুলবেন তার সহজ উপায় দেওয়া হলো
কফি
*কাপড় থেকে কফির দাগ তুলতে হলে কাপড় ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় শুকিয়ে ড্রাইওয়াশ করে নিন।
*সোফার কাভার বা টেবিলক্লথে কফির দাগ হলে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশের সঙ্গে দুই কাপ ঠাণ্ডা পানি মেশান। ওই পানিতে এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে তা দি
য়ে দাগের ওপর ঘষে নিন। দাগ থাকবে না। এ ছাড়া কফির দাগ তোলার জন্য লিকুইড ডিটারজেন্ট ও ভিনেগার একত্রে মিশিয়ে দাগের ওপর ব্যবহার করুন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
*কার্পেটে চা বা কফি পড়ে গেলে এক টেবিল চামচ হ্যান্ডওয়াশ ও এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার দুই কাপ কুসুম গরম পানিতে মেশান। ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধীরে ধীরে মুছুন।
তেল-ঝোল
*রান্না করার সময় কাপড়ে তেল পড়ে গেলে ব্লুটিং পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে প্রি-ওয়াশ স্টোন রিমুভার দিয়ে জায়গাটা মুছে নিন। এরপর সেই কাপড়ের পক্ষে যতটা গরম উপযুক্ত ততটা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। কার্পেটের ওপর তেল পড়লে প্রথমে অতিরিক্ত তেল টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিন। এরপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। পরিষ্কার কাপড় ড্রাইক্লিনিং সলভেন্ট দিয়ে মুছুন। এতেও দাগ না উঠলে এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও দুই কাপ গরম পানি মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর ড্রাইক্লিন করিয়ে নিন।
*তরকারির ঝোলের দাগ পড়লে প্রথমে পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে চেপে অতিরিক্ত তেল তুলে ফেলুন। তারপর বাসন ধোয়ার ডিটারজেন্ট অল্প করে মাখিয়ে রাখুন দাগের ওপর। লেগে থাকা তেলের ভাব অনেকটা কমবে। দুই মিনিট পর আবার কিছুটা ডিটারজেন্ট মাখিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
সস
*জামাকাপড়ে সস পড়ে গেলে অতিরিক্ত সস ঝেড়ে ফেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কার্পেটের ওপর সস পড়লে দুই কাপ কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ মেশান। তারপর পরিষ্কার কাপড় ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে সসের জায়গা মুছুন। এতেও দাগ না উঠলে এক টেবিল চামচ অ্যামোনিয়ার সঙ্গে দুই কাপ কুসুম গরম পানি মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর আবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
কালি
*সাদা কাপড়ে কালির দাগ শুকিয়ে গেলে ফুটন্ত গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ বা লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটিতে কাপড় ভিজিয়ে রাখুন।
*ফলের রসের দাগের ওপর লবণ ছড়িয়ে দিন। অতিরিক্ত লিকুইড শুষে নেয়। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ঝকঝকে করতে চাইলে কালার সেফ ব্লিচ ব্যবহার করতে পারেন।
নেলপলিশ
*নেলপলিশের দাগের ওপর নেলপলিশ রিমুভার লাগিয়ে জায়গাটা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এক চা চামচ পি-এইচ ব্যালান্সড ডিটারজেন্ট পাউডার এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে কাপড় ডুবিয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
* রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।
* বেগুন ও কাঁচকলা কেটে রাখলে কালো হয়ে যায়। পানিতে সামান্য দই দিয়ে কাটা কাঁচকলা ও বেগুন ডুবিয়ে রাখুন কালো হবে না।
* পেঁয়াজ-রসুন কাটার পর হাতে গন্ধ থাকে। সামান্য লেবুর রস বা শর্ষের তেল মাখুন। তারপর হাত ধুয়ে নিন।
* মাছে লবণ, হলুদ ও সামান্য ভিনিগার দিয়ে ফ্রিজে রাখলে বাসি গন্ধ হবে না; ফ্রিজেও আঁশটে লাগবে না।
* অনেক সময় চিংড়ি মাছে গন্ধ লাগে। রান্না করার আধঘণ্টা আগে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখুন, এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্না করুন। মাছ বা অন্যান্য সি-ফুড
রান্নার সময় এভাবে লেবু-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে নিন। আঁশটে গন্ধ হবে না।
* আচার শেষ বোতল পরিষ্কার করার পরও গন্ধ থাকে। ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বোতলে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, গন্ধ থাকবে না।
* কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন, তাহলে ডালের রং আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে চালের সঙ্গে মিশে যাবে।
* যেকোনো লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরো করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টের খরচও কমবে, কাপড়ও ঝকঝকে হবে।
* বালতি কিংবা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরিচার দাগ পড়লে তারপিনের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।গৃহস্থালির
* অনেক দিন আলু স্টোর করতে চাইলে প্যাকেটে একটা আপেল রাখুন, আলুতে চারা গজাবে না।
* পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুতে থাকুন, চোখ জ্বালা করবে না।
* মাছ ভাজতে কড়াইতে তেল গরম হলে মাছের ওপর সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন, তেলের ছিটা আসবে না।
* মাছ রান্না করে হাতের কাছে কাঁচা ধনিয়া পাতা থাকলে কুচি কটুকিটাকিরে কেটে বিছিয়ে দিন, স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যাবে।
* ডাল যত বেশি সময় জ্বালানো হবে স্বাদ ততই বাড়বে। তাই ডাল রান্নার সময় বেশি পানি দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দিন।
* মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।
* মাংস রান্না করে শেষে নামানোর আগে বেরেস্তা (পেঁয়াজ কুচি ভাজা) দিয়ে দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
* ডিম সিদ্ধ করতে পানিতে সামান্য লবণ দিন। ডিম ফাটবে না আর খেতেও সুস্বাদু হবে। ডিম ঠাণ্ডা করে খোসা ছাড়ান, এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
* রান্নায় খাদ্যমান ঠিক রাখতে যতটুকু সম্ভব তরকারি বড় বড় টুকরা করে কাটুন।
* রান্নায় গরম পানি ব্যবহার করুন, তাড়াতাড়ি রান্না হবে।
* ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ এড়াতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন। আঁশটে গন্ধ থাকবে না।
* চিনিতে পিঁপড়া ধরলে চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন, পিঁপড়া ছেড়ে যাবে।
* তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দিন, কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমবে। ছোট একটি আলু কেটে দিলেও চলবে।
* ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রেখে দিন। বাসন ধোয়ার সময় এই মাড় পানির সঙ্গে ব্যবহার করুন। কাচের ও স্টেনলেস স্টিলের বাসন ঝকঝকে হবে।
* হাতে রান্না করার সময় হলুদের দাগে ভরে গেছে। এক টুকরো লেবু ভালো করে হাতের তালুতে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। দাগ থাকবে না।
* কচু কাটার পর হাত কালচে হয়ে যায়। হাত চুলকাতে থাকে। পানি দিয়ে না ধুয়ে লবণ মেখে চুলার তাপে হাতটা কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। চুলকানো বন্ধ হয়ে যাবে।গৃহস্থালির টুকিটাকি
শর্টকাট টিপস
*লেবু কেটে ফেললেই শুকিয়ে যায়। কাটা লেবু ফ্রিজে রাখতে না চাইলে এর ওপর সামান্য নারিকেল মাখিয়ে খোলা জায়গায় রাখুন।
*হিং অনেক দিন তাজা থাকবে যদি এর সঙ্গে কয়েকটা কাঁচামরিচ রাখেন। দুধে ভিজিয়ে রাখলেও তাজা থাকবে।
*কোল্ড ড্রিংকের ঝাঁজ বের হয়ে গেছে, ফেলে দেবেন না। ঘরের মেঝে, তেলতেলে কিচেন কাউন্টার ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন।
*আঠার টিউব যখন ব্যবহার করবেন না, তখন ফ্রিজে রাখুন। অনেক দিন চলবে, শুকাবে না।
*সাবান ছোট টুকরা হয়ে গেলে ফেলে দেবেন না। পুরনো মোজায় ভরে ড্রয়ারে বা আলমারিতে রাখুন। ভ্যাপসা গন্ধ হবে না। ফ্রেশনারও লাগবে না।
*মোমবাতি ফ্রিজে রাখবেন। অনেক দিন চলবে। তাড়াতাড়ি জ্বলে যাবে না।
*জুতার কালি যদি বেশি দিন পর পর ব্যবহার করেন তা হলে তা শুকিয়ে যায়। এতে দুই ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে রাখবেন; অনেক দিন ভালো থাকবে।
*দামি সেরাম শ্যাম্পু হাতের কাছে নেই। বাড়িতে বানিয়ে নিন সেরাম শ্যাম্পু। দুটো ডিমের সাদা অংশ বের করে নিয়ে এতে দুই টেবিল চামচ রেড়ির তেল মেশান। পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকিমুক্ত ঝলমলে চুল।
*বালতি বা প্লাস্টিকের কোনো জিনিসে মরচে দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন, দাগ চলে যাবে।
*লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরা করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টও কম লাগবে এবং কাপড়ও ঝলমলে হবে।
*চামড়ার জুতাতে ক্যাস্টার অয়েল আর সোল এ বার্নিশ (ম্যাট) লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। বৃষ্টিতে ভিজলেও নষ্ট হবে না।
*ছুরি বা কাঁচিতে মরচের দাগ তোলার জন্য ভিনেগার বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে আধঘণ্টা ফুটিয়ে নিন, দাগ চলে যাবে।
*রুপোর গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন, পরিষ্কার হয়ে যাবে।
*মোচা বা কচু কাটতে গিয়ে হাতে দাগ হয়ে যায়। কাটা শেষে আলুর ফালি আঙুলে ঘষে নিন, দাগ থাকবে না।
*বেগুন পোড়ার পর এর খোসা তুলতে অনেক সময় কষ্ট হয়। তাই বেগুন পোড়ার পর তা পানিতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তুলে পানি ঝরিয়ে খোসা ছড়ান। সহজেই উঠে যাবে।
*ফুলকপি অনেক সময় পরিষ্কার হতে চায় না। তাই কাটার পর ভিনেগার মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এরপর তুলে দেখবেন সব পোকা আর ময়লা বেরিয়ে গেছে।
*দই কি খুব টক হয়ে গেছে। পাতলা কাপড়ে ঢেলে ঝুলিয়ে রাখুন। তবে দইয়ের পানিটা ফেলে দেবেন না। ময়দা মাখার সময় পানির পরিবর্তে ব্যবহার করুন। আর টকদই পরিবেশন বা রান্নার সময় একটু দুধ মিশিয়ে দেবেন।টিপস
দাগ মেটানোর নানা উপায়
* ছুরি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।
* কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠে যাবে।
* অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে
এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।
* রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।
* বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।
* কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।
* পিতলের জিনিসের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের জিনিসের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।দাগ তোলার সহজ উপায়
অসাবধানতাবশত তেল, কফি, চা, ঝোল পড়ে দাগ হয়ে যায়। সেই দাগ তোলা মুশকিল হয়ে পড়ে। কিভাবে দাগ তুলবেন তার সহজ উপায় দেওয়া হলো
কফি
*কাপড় থেকে কফির দাগ তুলতে হলে কাপড় ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় শুকিয়ে ড্রাইওয়াশ করে নিন।
*সোফার কাভার বা টেবিলক্লথে কফির দাগ হলে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশের সঙ্গে দুই কাপ ঠাণ্ডা পানি মেশান। ওই পানিতে এক টুকরো পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে তা দি
য়ে দাগের ওপর ঘষে নিন। দাগ থাকবে না। এ ছাড়া কফির দাগ তোলার জন্য লিকুইড ডিটারজেন্ট ও ভিনেগার একত্রে মিশিয়ে দাগের ওপর ব্যবহার করুন। পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
*কার্পেটে চা বা কফি পড়ে গেলে এক টেবিল চামচ হ্যান্ডওয়াশ ও এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার দুই কাপ কুসুম গরম পানিতে মেশান। ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধীরে ধীরে মুছুন।
তেল-ঝোল
*রান্না করার সময় কাপড়ে তেল পড়ে গেলে ব্লুটিং পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে প্রি-ওয়াশ স্টোন রিমুভার দিয়ে জায়গাটা মুছে নিন। এরপর সেই কাপড়ের পক্ষে যতটা গরম উপযুক্ত ততটা গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। কার্পেটের ওপর তেল পড়লে প্রথমে অতিরিক্ত তেল টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিন। এরপর বেকিং সোডা ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। পরিষ্কার কাপড় ড্রাইক্লিনিং সলভেন্ট দিয়ে মুছুন। এতেও দাগ না উঠলে এক টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ও দুই কাপ গরম পানি মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর ড্রাইক্লিন করিয়ে নিন।
*তরকারির ঝোলের দাগ পড়লে প্রথমে পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে চেপে অতিরিক্ত তেল তুলে ফেলুন। তারপর বাসন ধোয়ার ডিটারজেন্ট অল্প করে মাখিয়ে রাখুন দাগের ওপর। লেগে থাকা তেলের ভাব অনেকটা কমবে। দুই মিনিট পর আবার কিছুটা ডিটারজেন্ট মাখিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
সস
*জামাকাপড়ে সস পড়ে গেলে অতিরিক্ত সস ঝেড়ে ফেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কার্পেটের ওপর সস পড়লে দুই কাপ কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ মেশান। তারপর পরিষ্কার কাপড় ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে সসের জায়গা মুছুন। এতেও দাগ না উঠলে এক টেবিল চামচ অ্যামোনিয়ার সঙ্গে দুই কাপ কুসুম গরম পানি মিশিয়ে ওই মিশ্রণ দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে ফেলুন। তারপর আবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
কালি
*সাদা কাপড়ে কালির দাগ শুকিয়ে গেলে ফুটন্ত গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ বা লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটিতে কাপড় ভিজিয়ে রাখুন।
*ফলের রসের দাগের ওপর লবণ ছড়িয়ে দিন। অতিরিক্ত লিকুইড শুষে নেয়। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ঝকঝকে করতে চাইলে কালার সেফ ব্লিচ ব্যবহার করতে পারেন।
নেলপলিশ
*নেলপলিশের দাগের ওপর নেলপলিশ রিমুভার লাগিয়ে জায়গাটা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এক চা চামচ পি-এইচ ব্যালান্সড ডিটারজেন্ট পাউডার এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে কাপড় ডুবিয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
* রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।
No comments:
Post a Comment