Monday, March 11, 2013

রান্নাঘরের টুকিটাকি


রান্নাঘরের টুকিটাকি

পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময় রান্নাঘর সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ হয়। আমারকাছে যেগুলি ভালো লেগেছে বা গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে সেগুলির একটি সংকলন এখানে প্রকাশ করলাম। আশাকরি আপনাদের কাজে লাগবে।
  • প্রথমেই খাবার সংরক্ষণ করার জন্য একটি রেফ্রিজারেটর কিনে ফেলুন। খরচ সাশ্রয় হবে।
  • রান্নার সময় সাধারণ হাঁড়ি-পাতিলের পরিবর্তে প্রেসারকুকার ব্যবহার করুন। এতে সময় কম লাগবে।
  • রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাবার দ্রুত গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করুন।
  • কম সময়ে রান্না করার জন্য বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডে প্রস্তুতকৃত গুঁড়া মসলা ও সস হাতের কাছে রাখুন।
  • পরদিন রান্না করার জন্য মাংস সেদ্ধ এবং ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
  • ভাত রান্না করার ক্ষেত্রে রাইসকুকার ব্যবহার করুন।
  • সবজি পরিষ্কার করে কেটে প্যাকেটজাত করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। এতে কম সময় ব্যয় হবে।
  • রান্নার সময় গরম পানি ব্যবহার করুন।
  • বাজার থেকে মাছ-মাংস কেনার সময় পরিষ্কার করে কেটে নিয়ে আসুন। এতে কাজে সুবিধা হবে।
  • খাবার বেশিক্ষণ গরম রাখার জন্য হটপট বা তাপ অপরিবাহী পাত্র ব্যবহার করুন।
  • রান্নার সময় কোনো কিছু মাপার জন্য পরিমাপক পাত্র (কাপ, চামচ) ব্যবহার করুন। কাজে সুবিধা হবে।
  • ফ্রিজের মধ্যে আঁশটে গন্ধ এড়াতে ফ্রিজে এক টুকরো কাঠ কয়লা রেখে দিন। আঁশটে গন্ধ থাকবে না।
  • ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে আধা চা চামচ লবণ দিন। তাতে ডিম তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে এবং ডিম ফাটবে না।
  • চিনিতে পিঁপড়া ধরলে চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন চিনির পিঁপড়া ছেড়ে যাবে।
  • রান্নায় লবণ বেশি হলে তাতে ছোট একটি আলু কেটে দিন। লবণ ভাব কমে যাবে।
  • মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।
  • কড়াইতে তেল দেওয়ার আগে যদি খালি কড়াই ভালো করে গরম করে নেওয়া হয় তাহলে পোড়ার দাগ ধরে না সহজে।
  • পাউডার দুধ তাড়াতাড়ি গুলতে শুকনো ডিশে পাউডার দুধের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিয়ে তারপর ঠান্ডা বা গরম যে কোন পানি দিয়ে দুধ গোলা যায় সহজে।
  • ওল, কচু বা কচু শাক রাধার সহজ উপায় সামান্য তেঁতুল ব্যবহার করা বা ওল ভাতের সঙ্গে খাবার সময় লেবুর রস ব্যবহার করলে গলা চুলকানির কোনো ভয় থাকে না।
  • প্রেসার কুকার ছাড়া তাড়াতাড়ি মাংস সেদ্ধ করার সহজ উপায় কয়েক ফোঁটা পেঁপের আঠা বা কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁপে অথবা একটা গোটা সুপারি দিয়ে মাংস রান্না করা।
  • সুজি ভালো করে রাখতে শুকনো খোলায় যদি সুজিকে ভেজে রাখা হয় তাহলে পোকা ধরে না।
  • পাটালি গুড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে গুড়ের কৌটায় কয়েকটা মুড়ি ফেলে রাখা যেতে পারে।
  • বিস্কুটকে মুচমুচে রাখতে মুড়ির টিনে ভরে রাখুন।
  • হাতে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করতে হাতে সরষের তেল মেখে নিলে গন্ধ থাকে না।
  • দুধের বাটি পুড়ে গেলে দু-একটা পেঁয়াজ বেটে ওই বাটিতে পেঁয়াজবাটা ও পানি দিয়ে কিছুণ ফোটালে বাটি পরিষ্কার হয়ে যায়।
  • কেরোসিনের গন্ধ দূর করতে হাতে সরষের তেল মেঝে নিলে গন্ধ থাকে না।
  • পাতিলেবু টাটকা রাখতে হলে ঠান্ডা পানির মধ্যে রাখা লেবুকে মাটির নিচে পুঁতে রাখলে লেবু কয়েকদিন টাটকা থাকে।

রান্নাবান্নার টুকিটাকি



রান্নার ক্ষেত্রে অনেক শব্দ ব্যবহৃত হয় যেগুলির সাথে অনেকেই পরিচিত না। এরকমই কিছু টিপস্ আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করে এই পাতায় দিলাম। আশাকরি আপনাদের কাজে লাগবে।
  • ভিজিয়ে রাখা বা ম্যারিনেশান : বেশির ভাগ রান্নার ক্ষেত্রেই আগে থেকে খাদ্যসামগ্রী মসলাতে ভিজিয়ে রাখা বা ম্যারিনেশন একান্ত জরুরি। এতে রান্নার স্বাদ বাড়ে এবং সহজে রান্নাও হয়ে যায় তথা সময়েরও সাশ্রয় হয়। ভাত বা পোলাও বা ফ্রাইড রাইস বা বিরিয়ানি যাই রান্না হোক না কেন রান্নার আগে যদি আধ ঘন্টা কিছুটা লবণ এবং লেবুর রসে চাল ভিজিয়ে রাখা হয় তাহলে চাল সেদ্ধ হবে তাড়াতাড়ি এবং নরম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • বেকিং : বেকিং ওভেনে রান্না করতে হলে অবশ্যই কাঁচা খাদ্যদ্রব্যকে ম্যারিনেট করতে হবে এবং ওভেন প্রথমে নির্ধারিত তাপমাত্রায় গরম করে নিতে হবে। তা না হলে খাদ্যবস্তুর উপরের অংশ পুরে যাবে কিন্তু ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে।
  • কাস্টার্ড : দুধ, চিনি এবং ডিমের মিশ্রিত রান্নাকে কাস্টার্ড বলে।
  • কাবাব : মাছ এবং মাংসে দরকার মতো ঝাল, লবণ ইত্যাদি ও তার সঙ্গে ঘি মিশিয়ে জ্বলন্ত চুলায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসিয়ে নেওয়াকে শিক কাবাব বলে। বেশি করে তেল বা ঘি দিয়ে ভেজে শামি কাবাব বা হাঁড়ি কাবাব তৈরি করা হয়।
  • কোর্মা : পানির সংস্পর্শে না এনে বেশি ঘিয়ে দই দিয়ে অল্প জ্বালে রান্না করাকে কোর্মা বলে।
  • কালিয়া : ঝাল ও কালিয়া প্রায় একরকম। মরিচ, রসুন, আদা, ধনে, জিরা ইত্যাদি বাটা দিয়ে রান্না হয়। অনেক সময় একটু তেঁতুল বা দই দিয়ে স্বাদ বৃদ্ধি করা হয়।
  • গ্রেভি : বিভিন্নভাবে ‘গ্রেভি’ করা যায়। এটাকে কারি বলে। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, নারকেল, পোস্তদানা, ধনে, জিরা, বাদাম প্রভৃতি বেটে তার সঙ্গে দই, টমেটো দিয়ে ঘন করে গ্রেভি তৈরি করা হয়। কিছু মসলা কড়াইতে গরম করে নিলে গ্রেভির স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
  • বাসনপত্র : রান্নার ক্ষেত্রে বাসনপত্রের ভূমিকা যথেষ্ট। যেমন ডিমের ওমলেট করতে গেলে ফ্রাই প্যানে সুবিধা হয়। তেমনি মোগলাই পদ রান্না করতে তামার প্লেট বিশেষ উপযুক্ত হয়। চাইনিজ রান্না করতে নির্দিষ্ট আকারের কড়াই প্রয়োজন। আবার তন্দুর করার জন্য প্রয়োজন তন্দুরবাটি বা লোহার তৈরি বারবিকিউ।